প্রতীকী ছবি।
কোনও ঘাটে কাঁটাগাছ, লতাপাতা বিছিয়ে রয়েছে। কোথাও আবর্জনার স্তূপ। তর্পণের আগে, বহু ঘাটে ঝাঁট পড়ল না। পুরসভা এলাকায় কিছু ঘাটে সাফাই হয়েছে, তবে প্রশ্ন থাকল আপৎকালীন ব্যবস্থা নিয়ে। তর্পণের সময়ে সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিয়ে জানতে চাইলে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার—তিন জেলার প্রশাসনই দাবি করেছে, যাঁরা তর্পণ করতে আসবেন, তাঁদের সুরক্ষার সব রকম ব্যবস্থা থাকবে। যদিও রাত পর্যন্ত প্রশাসনিক প্রস্তুতির তেমন ছবি নজরে আসেনি বলে দাবি বাসিন্দাদের অনেকেরই।
আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানিয়েছেন, মহালয়ার সকালে তর্পণ ঘিরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সর্তক থাকবে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেলার যে যে নদীর ঘাটে তর্পণ করতে মানুষ ভিড় জমান, সেখানে কড়া নজরদারি রাখতে সব থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন জায়গায় নদীঘাটগুলিতে থাকবেন সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরাও।
আলিপুরদুয়ার শহরে মূলত কালজানি আর ডিমা নদীর ঘাটেই তর্পণে যোগ দেন বেশিরভাগ বসিন্দা। কিন্তু অভিযোগ, অনেক দিন ধরেই ওই ঘাটগুলি পরিষ্কার করা হয় না। আলিপুরদুয়ার পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর শান্তনু দেবনাথ বলেন, “অভিযোগ একেবারেই ঠিক। তর্পণে এত মানুষ যোগ দেন। অথচ, শহরের নদীঘাটগুলি পরিষ্কার করা হল না। পুরসভার বিষয়টিতে নজর দেওয়া উচিত ছিল।” আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর অবশ্য বলেন, “তর্পণে জন্য শহরের সবক’টি নদী ঘাটকে পরিষ্কার করা হয়েছে।”
কোচবিহার প্রশাসনের দাবি, ঘাটে রাখা হবে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, নৌকা। কোচবিহারে তোর্সা নদীর কালীঘাট ও বিসর্জন ঘাটের তর্পণেই মূলত ভিড় হয়। সে জন্য ওই দু’টি ঘাটে বাড়তি নজরদারি থাকছে। মহকুমাশাসক (কোচবিহার সদর) রাকিবুর রহমান বলেন, “তর্পণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তোর্সার দুই ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা থাকবেন। পুলিশও থাকবে।”
দিনহাটা শহরের থানার দিঘি ছাড়াও, ধরলা নদীর রথবাড়িঘাট, বানিয়াদহ নদীর ঘাটে তর্পণ হয়ে থাকে। ভিড় জমে শহরের থানা দিঘিতেও। দিনহাটা থানার আইসি সুরজ থাপা জানান, ঘাটে নজরদারি দল থাকবে। তুফানগঞ্জে মহালয়ার ভোরে তর্পণের জন্য অনেকেই হাজির হন রায়ডাক নদীর ঘাটে। তুফানগঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তনু সেন বলেন, “পুরসভার থেকে রায়ডাক নদী ঘাট পরিষ্কার করা হয়েছে।” সিভিল ডিফেন্স কর্মী, নৌকাও তৈরি থাকবে।
বাসিন্দাদের একাংশের অবশ্য অভিযোগ, বেশ কিছু ঘাটে অব্যবস্থাও রয়েছে। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “তোর্সার কালীঘাট, বিসর্জন ঘাটের পরিকাঠামোর সমস্যা রয়েছে। ঘাটে নামার আরও বেশি সংখ্যক সিঁড়ি করা দরকার। পুরোহিতদের বসার ব্যবস্থাও সে ভাবে নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy