রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বুধবার কালচিনির ডিমা চা বাগানে। নিজস্ব চিত্র।
আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই বুধবার থেকে চা বাগানগুলিতে শুরু হল রক্তের নমুনা সংগ্রহ। এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শিবির করে বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ দিন কালচিনি ব্লকের ভাটপাড়া ও ডিমা চা বাগানে শ্রমিকদের রক্তের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ দিন মোট ৭৯ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, এই শিবিরের ফলে শুধু ডেঙ্গি নয়, যদি কোনও বাসিন্দা অন্য রোগে আক্রান্ত হন, সে তথ্যও সহজে মিলবে। দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু করা যাবে। সেই লক্ষ্যেই কালচিনি ব্লকের ২৩টি চা বাগানে এক-এক করে শিবির করে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আলিপুরদুয়ার জেলায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর হদিস মিলেছে কালচিনি ব্লকেই। এখনও পর্যন্ত কালচিনি ব্লকের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ জন। যার মধ্যে কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। তাই ডেঙ্গি রুখতে কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছেন না স্বাস্থ্য দফতর ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শুধু ডেঙ্গির মরসুমেই নয়, বছরের অন্য সময়েও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এমন শিবির করা হবে।
এ বিষয়ে ব্লকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্রীকান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘বাগানে অনেকে অসুস্থ হলেও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন না। ফলে, তাঁরা কোনও রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা দ্রুত জানা যায় না। সে কারণেই চা বাগানগুলিতেই বিশেষত আমরা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছি।’’ এক দিকে, যেমন চা বাগানে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শিবির করে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে, অন্য দিকে, ব্লক প্রশাসনের তরফে ব্লকের মাছ বাজার, নর্দমা-সহ বিভিন্ন এলাকায় যেখানে জল বা আবর্জনা জমে রয়েছে তা পরিদর্শন করা হচ্ছে। মঙ্গলবারও কালচিনি, হ্যামিল্টনগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন কালচিনির বিডিও মিঠুন মজুমদার, মহকুমাশাসক বিপ্লব সরকার-সহ অন্য আধিকারিকেরা। বিডিও বলেন, ‘‘জেলাশাসকের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। কোথায় নর্দমার জল জমে রয়েছে, আবর্জনা রয়েছে সে তথ্য জেলাশাসককে দিয়েছি। আগামী দিনে কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়েও পরিকল্পনা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy