—প্রতীকী চিত্র।
স্কুলের শৌচাগারের পরিকাঠামো সমীক্ষা করে দেখবে প্রশাসন। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর— সব স্কুলের পরিকাঠামো সরেজমিনে দেখার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের। পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে ব্লকভিত্তিক সমীক্ষক দল গড়া হয়েছে। আগামিকাল, ২৮ মে থেকে শুরু হবে এই পরিদর্শন পর্ব। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির শৌচালয়ও দেখবে প্রশাসনের দল। জলপাইগুড়ি জেল পরিষদের জল ও স্বাস্থ্যবিধান বিভাগের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। শৌচালয় ছাড়াও স্কুলে ব্যবহৃত জল কী ভাবে অপসারণ করা হয় অথবা সেই জল নিষ্কাশনের আদৌ কোনও উপায় আছে কিনা, সে সবও দেখবে প্রশাসনের দলটি।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বিভিন্ন সার্কেলে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কবে কোন স্কুলে পরিদর্শন হবে সে সব জানানো হয়নি।” জেলা পরিষদের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি নিছক পরিদর্শন নয়, এটা সমীক্ষা। সমীক্ষা করে দেখা হবে কোন স্কুলের শৌচালয়ে কী কী পরিকাঠামো রয়েছে। জেলার বহু স্কুলের শৌচালয় নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত, ছাত্রীদের শৌচালয় বহু স্কুলে মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে অভিযোগ ওঠে। শৌচালয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন নষ্ট করার বন্দোবস্ত নেই। শৌচালয়ে যথেষ্ট আড়াল না থাকারও অভিযোগ রয়েছে কোনও কোনও স্কুলে। মনে করা হচ্ছে, সে সব নানা খামতি উঠে আসবে সমীক্ষায়। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শৌচালয়গুলি, দাবি সরকারি একটি সূত্রেই। বেশিরভাগ কেন্দ্রের শৌচালয় স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে দাবি।
আগামিকাল, মঙ্গলবার থেকে সমীক্ষা হবে বলে জানানো হলেও কোন স্কুলে কবে কখন সমীক্ষায় যাবে সরকারি দল, তা আগেভাগে জানানো হবে না। প্রশাসনেরও দাবি, আগে থেকে জানানো হবে না। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিনের যা বাস্তব ছবি সেটাই উঠে আসবে সমীক্ষায়। বর্তমানে স্কুলে গরমের ছুটি চলছে। সে কারণে সমীক্ষার সময় স্কুলের স্বাভাবিক কাজেও ব্যাঘাত ঘটবে না। শৌচালয়ের দশার সঙ্গে দেখা হবে ব্যবহৃত জলের নিষ্কাশনের উপায়ও।
স্কুলের ব্যবহৃত জল নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় নানা রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। খোলা এলাকায় ব্যবহৃত জল ফেলা হয়ে থাকে প্রায় সব স্কুলেই। এই জল নিদিষ্ট ট্যাঙ্কে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পরিকাঠামো কোন স্কুলে কতটা তাও দেখবে সমীক্ষক দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy