Advertisement
১৮ মে ২০২৪

আইন না মেনে দত্তকের নালিশ

শিশু চুরি নিয়ে গোটা রাজ্যে যখন হইচই চলছে, তখন জলপাইগুড়ির একটি হোমের বিরুদ্ধে সিডব্লিউসি বা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির অনুমতি ছাড়াই তিন বছরে সতেরোটি শিশুকে দত্তক দেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷ শিশু বিক্রির আশঙ্কার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সিডব্লিউসি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪৩
Share: Save:

শিশু চুরি নিয়ে গোটা রাজ্যে যখন হইচই চলছে, তখন জলপাইগুড়ির একটি হোমের বিরুদ্ধে সিডব্লিউসি বা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির অনুমতি ছাড়াই তিন বছরে সতেরোটি শিশুকে দত্তক দেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷ শিশু বিক্রির আশঙ্কার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সিডব্লিউসি।

জলপাইগুড়িতে নর্থ বেঙ্গল পিপলস ডেভলপমেন্ট সেন্টার পরিচালিত একটি হোমের বিরুদ্ধেই উঠেছে এই অভিযোগ৷ সিডব্লিউসি-র কর্তাদের কথায়, হোম থেকে যে কোনও শিশুকে দত্তক দিতে হলে সিডব্লুউসি-র অনুমতি প্রয়োজন৷ কিন্তু সিডব্লিউসি-র চেয়ারপার্সন বেবি উপাধ্যায়ের অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে সম্পুর্ণ বেআইনিভাবে সতেরোটি শিশুকে দত্তক দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত এই শিশুগুলিকে দত্তক দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ধীরে ধীরে গোটা বিষয়টি তাদের নজরে আসে৷ গত জুন মাসে সিডব্লিউসি-র কয়েকজন সদস্য বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন৷ যার কপি দেওয়া হয় সমাজ কল্যাণ দফতরের ডিরেক্টরকেও৷ ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, নতুন কমিটি গঠনের আগে বিভিন্ন সময়ে ওই হোম থেকে সতেরোটি শিশুকে সিডব্লিউসি-র অনুমোদন ছাড়াই দত্তক দেওয়া হয়েছে৷ সিডব্লুউসি-র সদস্য সুবোধ ভট্টাচার্যের কথায়, “বেশ কয়েক বছর ধরেই জলপাইগুড়িতে শিশু পাচার চক্র সক্রিয়৷ এবং এই সংস্থার বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ পেয়েছি৷”

কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে জেলার শিশু রক্ষা আধিকারিক বা ডিসিপিওকেও৷ অভিযোগে বলা হয়েছে, ডিসিপিও-র তরফে তাদেরকে চাপ দিয়ে বলা হয়, সংস্থাটিকে তারা যেন নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়৷ জানা গিয়েছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জুলাই মাসে চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ট্রাফিকিং-এর ডিরেক্টর জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে তদন্তের নির্দেশ দেন৷

যদিও যে সংস্থা হোমটি পরিচালনা করছে তার সম্পাদক চন্দনা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা কোনও বেআইনি কাজ করিনি৷ অথচ সিডব্লুউসি-র সদস্য সুবোধ ভট্টাচার্য অজ্ঞাত কারণে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের হোমের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে চাইছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে ডিসিপিও সুস্মিতা ঘোষও। তিনি বলেন, ‘‘অনেকদিন ধরেই কেউ কেউ বিষয়টি মাঝেমধ্যেই নাড়াচাড়া করছেন৷ কিন্তু এত বড় একটা বিষয় নিয়ে কেন তারা এফআইআর করছেন না, সেটাই বুঝতে পারছি না৷’’ বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

adoption
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE