গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে। — নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আর কাটছে না দক্ষিণ দিনাজপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে গঙ্গারামপুরের নন্দনপুরে দলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক বিপ্লব মিত্র অনুগামীদের সঙ্গে সত্যেন রায় গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়েছে। পরস্পরের বিরুদ্ধে বিধানসভা ভোটে হারানোর অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। ওই রাতে বিপ্লব মিত্র অনুগামী এক তৃণমূল কর্মী প্রদ্যুত চক্রবর্তীর বাড়ি লক্ষ করে বোমাবাজির অভিযোগের জেরে দু’দলের সংঘর্ষ হয়। সত্যেন রায় অনুগামী আইএনটিটিইউসি নেতা মজিরুদ্দিন মণ্ডল গোষ্ঠীর ৩ তৃণমূল কর্মী তাতে গুরুতর জখম হন। তাঁদের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। থানার আইসি সমীর দেওসা বলেন, ‘‘কোনও পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে হাসপাতলে ভর্তি ওই তিন জনের বিরুদ্ধে বোমা ছোড়ার অভিযোগ পেয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় তারা চিকিৎসাধীন।’’
প্রদ্যুতবাবু অভিযোগ, ‘‘সত্যেনবাবুর হেরে যাওয়ার পিছনে আমাদের ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ তুলে গভীর রাতে বাড়ির সামনে বোমাবাজি শুরু হয়। দলের কর্মী সমর্থকেরা প্রতিরোধ গড়ে অভিযুক্ত তিন জনকে ধরে ফেলে। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের একজন রঞ্জিত সিংহ সত্যেন রায় গোষ্ঠীর নেতা মজিরুদ্দিন মন্ডলের নির্দেশে বোমা ছুড়ে হামলার চেষ্টা করে বলে স্বীকার করেছে।’’ তবে বোমার আঘাতে কেউ জখম হয়নি। থানায় অভিযোগ জানাবেন প্রদ্যুতবাবু।
বিপ্লববাবুর বক্তব্য, ‘‘ঘটনার কথা শুনেছি। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ মজিরুদ্দিন মণ্ডলের দাবি, ‘‘কয়েকদিন আগে প্রদ্যুতের লোকজন দলীয় কর্মীদের মারধর করে। দোষ ঢাকতে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওই তিন জনকে গাছে বেঁধে পেটানো হয়।’’ এ দিন হাসপাতালে ভর্তি জখম রঞ্জিতবাবু দাবি করেন, ‘‘বিপ্লববাবু হেরে যাওয়ার পিছনে মজিরুদ্দিন মণ্ডলের হাত রয়েছে সন্দেহ করে প্রদ্যুতবাবুরা আমাদের বেধড়ক পেটায়। বোমাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy