Advertisement
E-Paper

উড়ান শুরুর তোড়জোড় কোচবিহারে

ফের আকাশপথে জুড়তে চলেছে কোচবিহার ও কলকাতা। সৌজন্যে ‘উড়ান’ প্রকল্প। বিমান মন্ত্রকের তরফ থেকে ওই ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু বেশি আসনের বিমান চালানোর জন্য কোচবিহারের বিমানবন্দরের রানওয়ে বাড়ানোর প্রয়োজন। তার কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩০
প্রস্তুতি: কোচবিহার বিমানবন্দরে সাফাই। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

প্রস্তুতি: কোচবিহার বিমানবন্দরে সাফাই। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

ফের আকাশপথে জুড়তে চলেছে কোচবিহার ও কলকাতা। সৌজন্যে ‘উড়ান’ প্রকল্প। বিমান মন্ত্রকের তরফ থেকে ওই ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু বেশি আসনের বিমান চালানোর জন্য কোচবিহারের বিমানবন্দরের রানওয়ে বাড়ানোর প্রয়োজন। তার কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।

জুলাই থেকে এই রুটে বিমান চলাচল শুরু করবে এয়ার ডেকান। শুক্রবার থেকে ওই বিমান বন্দরে পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। এ দিন টার্মিনাল ভবন লাগোয়া চত্বরে দিনভর চলে সাফাইয়ের কাজ। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক জানান, এখন ওই বিমানবন্দরের যা পরিকাঠামো তাতে ২২-২৬ আসনের উড়ান চালানো যেতে পারে। তার বেশি আসনের উড়ান চালুর জন্য রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়াতে হবে।

বিমান বন্দর সূত্রের খবর, কোচবিহারের ওই বিমান বন্দরটি ১৭১ একর এলাকার ওপর তৈরি। এখন সেখানে ১০৬৯ মিটার রানওয়ে রয়েছে। তাতে অপেক্ষাকৃত কম আসনের উড়ান ওঠানামায় সমস্যা নেই। বেশি আসনের বিমান নামাতে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ২৩০ মিটার বাড়াতে হবে। সেই কাজের প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়েছে বলে বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি। এই কাজের জন্য মরা তোর্সার গতিপথও বদলানো হয়েছে। রানওয়ে সম্প্রসারণের প্রস্তাবিত এলাকায় মাটি ভরাটের কাজও হয়ে গিয়েছে। উড়ান চালানোয় খুশি কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সম্পাদক রাজেন বৈদ।

কাজ করা নিয়ে চাপানউতোর চলছে প্রশাসন ও এএআইয়ের মধ্যে। প্রশাসনের দাবি, রানওয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব এখন এএআইয়ের। পাল্টা এএআই সূত্রের দাবি, প্রাচীর, গেট সংস্কার, নিকাশির উন্নয়ন ও কিছু বাড়ির উচ্চতা কমানোর দায়িত্ব প্রশাসনের।

শুরু হয়েছে কৃতিত্বের দাবি নিয়ে লড়াইও। কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় ২২ মার্চ লোকসভায় উড়ান চালুর জন্য সরব হন। এ দিন পার্থবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। তিনিই নদীর গতি বদলের মতো কাজে আর্থিক বরাদ্দ দেন।” যদিও বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল দে’র দাবি, পুরো কৃতিত্বই কেন্দ্র সরকারের। যদিও কৃতিত্বের দাবির লড়াইকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না বিমান মন্ত্রক। তারা জানাচ্ছেন, ছোট শহরগুলির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিই উড়ান প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়াও বিমান চালু হলে শহরগুলোর আর্থসামাজিক উন্নতিও ত্বরাণ্বিত হবে বলে বিমান মন্ত্রকের দাবি।

Flights Runway
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy