Advertisement
E-Paper

প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলে বিক্ষোভ জলপাইগুড়িতে

শিলিগুড়ির পরে জলপাইগুড়ি। ফের প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভের আঁচ এল প্রকাশ্যে। সোমবার দুপুরে জলপাইগুড়িতে দলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ রাস্তায় নেমে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিজেপিতে যোগদানের হুমকি দেন। অন্য দিকে, রাতে নিজের দফতরে কার্যত ‘ঘেরাও’ হন জলপাইগুড়ির তৃণমূল সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৫ ০১:৫১
জলপাইগুড়িতে সাংসদের দফতরের সামনে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

জলপাইগুড়িতে সাংসদের দফতরের সামনে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়ির পরে জলপাইগুড়ি। ফের প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভের আঁচ এল প্রকাশ্যে।

সোমবার দুপুরে জলপাইগুড়িতে দলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ রাস্তায় নেমে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিজেপিতে যোগদানের হুমকি দেন। অন্য দিকে, রাতে নিজের দফতরে কার্যত ‘ঘেরাও’ হন জলপাইগুড়ির তৃণমূল সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন।

দীর্ঘ চাপানউতোরের পর রবিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। প্রথা মেনে সভা করে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করে সংবাদমাধ্যমের হাতে সেটা তুলে দেওয়া হয়। ওই সূত্র ধরে শুরু হয় বিতর্ক। এ দিন দলের প্রবীণ নেতৃত্বের একাংশ মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ না করে অভিযোগ করেন, দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মী সমর্থকদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ‘কলকাতার এক বিতর্কিত নেতার নির্দেশে’ সদ্য দলে আসা লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সোমবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ রীতিমতো পোস্টার লিখে দাবি করেন, মুকুল রায়ের নির্দেশে ঠিক করা প্রার্থী তাঁরা মানবেন না। তাঁদের অভিযোগ, ওয়ার্ড থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ১১ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। তাঁদের কাউকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি অভিজিত সিংহকে প্রার্থী করা হয়েছে। ওই অভিযোগ তুলে ওই ওয়ার্ডে বিক্ষোভ দেখান অস্তত জনা ৭০ বিজেপি কর্মী।

এ দিন সকাল থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ছিল উত্তপ্ত। দলীয় কর্মীদের একাংশ তো বটেই, ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর নিরুপমা রায় প্রচারের প্রথমদিন অভিজিতবাবুর পাশে না দাঁড়িয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁর অভিযোগ, “ওয়ার্ড থেকে ১১ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল তাঁদের মধ্যে কেউ কি যোগ্য ছিলেন না! আমরা বহিরাগত প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারছি না।” এ দিন দলীয় প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূল শ্রমিক নেতা বিকাশ মালাকারও। তিনি বলেন, “ওয়ার্ড থেকে পাঠানো তালিকায় আমার নাম ছিল। জেলা সভাপতি ডেকে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেন। এমন কি হল মুকুল রায়ের অনুগামীকে প্রার্থী করতে হচ্ছে।”

এদিকে বামফ্রন্টের ২৪ জন প্রার্থী এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেন। আজ, মঙ্গলবার কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা করবেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “ভোট হবে নেত্রীর নামে ঘাস ফুল প্রতীকে। ব্যক্তি কোন বিষয় নয়। তাই কে কোথায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেটাকে গুরুত্ব দেওয়ার মানে নেই।”

এ দিকে পুর নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে এবার দলীয় কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জলপাইগুড়ির তৃণমূল সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন। সোমবার রাতে শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের দফতরে ঘেরাও হন তিনি। রাত ন’টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ওই বিক্ষোভ চলে। দলের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তাঁর কাছে রবিবার প্রকাশ করা প্রার্থী তালিকা বাতিলের দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, পুরনো তৃণমূল কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে সদ্য দলে আসা কর্মীদের প্রার্থী করা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী বিউটি সেন বলেন, “প্রার্থী তালিকা বাতিল করা না হলে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেওয়া হবে না।” শতাধিক তৃণমূল কর্মী এদিন রাতে সাংসদের দফতরে ঢুকে কোন নেতার পরামর্শে প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছে, তা জানতে চান। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। এক সময় উত্তেজনা চরমে ওঠে। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা দলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীকে অপসারণের দাবিও জানান। যদিও বিক্ষোভের ঘটনার কথা অস্বীকার করেন সাংসদ। তিনি বলেন, “এমন কিছু নয়। দলের কর্মীরা কথা বলতে এসেছিলেন।” রাত দশটা নাগাদ সাংসদ ঘেরাও মুক্ত হন। দলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “কি হয়েছে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।”

minicipality vote Trinamol jalpaiguri TMC minicipal election northbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy