পরিবারের কাছে এ দিনও কোনও খোঁজ আসেনি মুকেশ ঠাকুরের। উদ্বেগ কাটেনি বাগডোগরার। গত শুক্রবার থেকে খোঁজ মিলছে না বায়ুসেনার জওয়ান মুকেশের। গত শনিবারই বায়ুসেনার সদর থেকে মুকেশের পরিবারকে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ এএন ৩২ বিমানের যাত্রী ছিলেন। শুক্রবার সকাল ৯টা বেজে ১৩ মিনিটের পর বিমানটির আর কোনও খোঁজ মিলছে না। সেই বিমানের যাত্রীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সেনা কর্তারাও। জানা গিয়েছে বিমানে পাইলট সহ মোট ২৯ জন যাত্রী ছিলেন। খবর পেয়ে রবিবার বাগডোগরার জ্যোতিনগরে মুকেশবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বায়ুসেনা জওয়ানের স্ত্রী, বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
মন্ত্রী রবিবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সেনা জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। ওঁদের যে কোনও প্রয়োজনে রাজ্য সরকার রয়েছে বলে জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীও কেন্দ্রীয় সরকার এবং তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেকও কাটেনি ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মুকেশবাবু। সম্প্রতি মাস দেড়েকের জন্য ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। গত রবিবারই ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দেন। দেশের যে কোনও প্রান্তেই থাকুন না কেন মুকেশ প্রতিদিনই বাড়িতে ফোনে যোগাযোগ রাখত বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবারও স্ত্রী সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা হয়েছে মুকেশের। পরদিন রাতে ফের ফোন করবে বলে স্ত্রীকে জানায়। নিখোঁজ বিমানে মুকেশের থাকার কথা শুনে তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের ৫ বছরের ছেলেও রয়েছে। মুকেশের কাকা দীনেশবাবু বলেন, ‘‘আমরা এখনও সঠিক ভাবে কিছু জানি না বিভিন্ন সূত্রে নানারকম তথ্য পাচ্ছি। বায়ু সেনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’’
স্বাস্থ্য নিয়ে দাবি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সকলের জন্য স্বাস্থ্যরক্ষার দাবি উঠলো। রবিবার জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের অডিটোরিয়ামে জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন আয়োজিত ‘দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকট এবং সাধারণ মানুষ’ বিষয়ে এক আলোচনা চক্রে এই দাবি ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy