শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গোলমাল চূড়ান্ত চেহারা নিয়েছিল দাড়িভিটে। যার জেরে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দুই যুবকের। এমন কোনও গন্ডগোল যাতে আর না হয়, সে দিকে এখন কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। ফলে যখন প্রায় সর্বত্র বই বিতরণ নিয়ে কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে, তখন দাড়িভিট স্কুল পেয়ে গিয়েছে সব বই। এ কথা জানিয়েছেন দাড়িভিট স্কুলের প্রশাসক তথা ইসলামপুরের মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্র-ই। স্কুল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের মধ্যে বই বিতরণও শেষ।
গত বছর ইসলামপুর মহকুমা জুড়েই বই বিতরণ নিয়ে সমস্যা ছিল। কোনও কোনও স্কুলে কিছু ক্লাসে বই দিতেই পারেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বছর স্কুলগুলিতে পুজোর আগে থেকেই তাদের ছাত্রের সংখ্যার পাশাপাশি কত বই লাগবে, তা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছিল। সেই মতো বই দেওয়া হয়েছে ভর্তির আগে।
ইসলামপুর হাইস্কুল সূত্রে খবর, তাদের প্রায় ২৫০০ ছাত্র। অথচ গত বছরই তাদের বই বিতরণে সমস্যা ছিল। অনেক ক্লাসেই সব বই দিতে পারেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিছু ক্ষেত্রে বইয়ের প্রতিলিপি করে পড়তে হয়েছিল ছাত্রদের। এ বছরও বিভিন্ন ক্লাসে উর্দু ও হিন্দি বই অনেক কম এসেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সলিমু্দ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘গত বছর যেমন বই নিয়ে একটা সমস্যা ছিল. এই বছর সমস্যাটা তুলনামূলক কম। তবে কিছু বিষয়ে বই কম এসেছে।’’ আবার ডালখোলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার বিশ্বাসও জানান, তাঁরাও উর্দু, হিন্দির বই সব পাননি। ইসলামপুরের মিলনপল্লি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির একটি বই পাওয়া যায়নি বলে স্কুলের কয়েক জন অভিভাবকের দাবি। তবে তা স্বীকার করেননি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের তপন ভৌমিক। চোপড়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা সাহা বলেন, ‘‘গত বছর সমস্যা ছিল অনেক বেশি। এ বছর সমস্যা কিছুটা মিটেছে। তবে সবটা এখনও ঠিক হয়নি।’’ ইসলামপুরের স্কুল পরিদর্শক শুভঙ্কর নন্দী অবশ্য বলেন, ‘‘এ বছর সব স্কুলই সব বই পেয়েছে। কোন বই নিয়েই কোন সমস্যা নেই।’’