কোচবিহার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রচার তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। — নিজস্ব চিত্র।
শহর থেকে গ্রাম- রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে দিনভর চরকি পাক খেলেন কোচবিহারের যুযুধান শিবিরের শিবিরের প্রার্থীরা। বিভিন্ন দলের নেতারাও এদিন এলাকা চষে বেড়ান। দলীয় সূত্রের খবর, কোচবিহার লোকসভার উপনির্বাচন ১৯ নভেম্বর। হাতে দুই সপ্তাহও বাকি নেই। রবিবার ছুটির দিনে তাই যত বেশি সংখ্যক ভোটারের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। রীতিমতো ছক কষে এ দিন কোথাও দলের প্রার্থীরা গিয়েছেন, কোথাও আবার নেতাকর্মীরা দায়িত্ব সামলেছেন। সব মিলিয়ে জমে ওঠে রবিবারের নির্বাচনী প্রচার যুদ্ধ। ফলে রীতিমতো সরগরম জেলার রাজনৈতিক আবহ।
দলীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে দলের প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায় কোচবিহারের ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় প্রচারে বেরোন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদ। পরে তিনি কোচবিহার ১ ব্লকের সুটকাবাড়ি, ঘুঘুমারি সহ প্রত্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে বেরোন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নাটাবাড়ি থেকে কোচবিহার দিনভর ঘুরে প্রচারের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি ভোটার স্লিপ বিলি সহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজের তদারকি করেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “হাতে খুব বেশি সময় নেই। রবিবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি।” পার্থবাবু বলেন, “ হাতে খুব বেশি সময় নেই। রবিবার ছুটির দিনে সবাইকে পাওয়া যাবে বলে এতটুকু সময় নষ্ট করতে চাইনি।” বিজেপি প্রার্থী হেমচন্দ্র বর্মন এদিন সকালে কোচবিহার শহরের নিউটাউন এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। দুপুরে কোচবিহার শহরে দলের জেলা সভাপতি নিখিল দে, জাতীয় পরিষদ সদস্য নিত্যানন্দ মুন্সী প্রমুখের নেতৃত্বে প্রার্থীকে সামনে রেখে একটি মিছিল হয়। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত হেমচন্দ্রবাবু গোসানিমারি, মালিরহাট এলাকায় প্রচার চালান। একাধিক ঘরোয়া বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “রবিবার সকাল, বিকাল দুই দফায় শহর থেকে গ্রামে যতটা সম্ভব প্রচার করেছি।”
বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরাও দিনভর ব্যস্ত ছিলেন। বাম প্রার্থী ফরওয়ার্ড ব্লকের নৃপেন রায় বলেন, “রবিবার চওড়াহাট বাজারে প্রচুর মানুষ আসেন, তাই ওই এলাকায় জোর প্রচার হয়।” কংগ্রেস প্রার্থী পার্থপ্রতিম ইশোর সকালে কোচবিহার শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার, নতুন বাজার, রেলগেট বাজার, কলাবাগান, চাকিরবাজারে বাজারে প্রচারে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy