—প্রতীকী চিত্র।
গ্রামের গলিপথ দিয়ে আলু বোঝাই গাড়ি অসমে পাচারে ‘বাধা’ দেওয়ায় আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে এক স্থানীয় যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত রাজু দাস কুমারগ্রাম থানার অন্তর্গত বারবিশা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ইন্দ্রজিৎ দাস এবং তাঁর এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও সেই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে গ্রামের গলিপথ ব্যবহার করে অসমে আলু পাচার চলছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার পাকরিগুড়ি এলাকার গলিপথ দিয়ে একটি আলু বোঝাই ট্রাক অসমে পাচারের সময়ে এলাকার বাসিন্দা রাজু দাস বাধা দিতে গেলে স্থানীয় ১০/১১৫ নম্বর বুথের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ইন্দ্রজিৎ দাস এবং তাঁর এক আত্মীয় রাজুকে মারধর করে এবং হুমকি দেন। এর পরেই শুক্রবার রাতে রাজু পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগকারী রাজু দাসের দাবি, ‘‘ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আলু পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বাধা দিতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমি চাই, পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।’’ যদিও অভিযুক্তের পাল্টা দাবি, ‘‘গ্রামের রাস্তা দিয়ে আলু পাচার করার ফলে রাস্তা খারাপ হচ্ছিল। রাজু দাস এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীরা ওকে আটকায়। আমিও ওকে এ ধরনের কাজ করতে বাধা দিই। এর পরেই আমার বিরুদ্ধে রাজু পুলিশের কাছে মিথ্যে অভিযোগ করেছে।’’ কুমারগ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি ধীরেশচন্দ্র রায় জানিয়েছেন, অবৈধ কাজের সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্য দিকে, রাজ্যের ভিতরে আলু রফতানি করতে না পেরে দফায়-দফায় পথ অবরোধ করলেন কৃষকরা। শনিবার ধূপগুড়ির দু’টি এলাকায় পথ অবরোধ করা হয়। অবরোধ তুলতে গেলে কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত হন এক পুলিশকর্মী। পরে বিশাল বাহিনী গিয়ে অবরোধ তোলে। এ নিয়ে মহাকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনায় বসে কৃষক
প্রতিনিধি দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy