অনীত থাপা। — ফাইল চিত্র।
আগামী ১৬ অগস্টের মধ্যে পাহাড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হচ্ছে। এখনও রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি না করলেও দলীয় স্তরে শাসক দলের তরফে নেতা কর্মীদের দিনক্ষণ জানিয়ে বার্তা দেওয়া হল। রবিবার সকালে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতানেত্রীদের সঙ্গে বোর্ড গঠন নিয়ে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা বৈঠক করেন। দলীয় সূত্রের খবর, সুসংহত, শান্তিপূর্ণ ভাবে বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কোনও এলাকায় বদলা নয়, চিন্তাভাবনার বদল নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাজের পরামর্শ দিয়েছেন জিটিএ প্রধান অনীত।
অনীত এ দিন বলেন, ‘‘আগামী ১৬ অগস্টের মধ্যে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করছি। কোথাও কোনও বদল বা বদলার প্রশ্নই নেই। আমরা চিন্তাভাবনার বদল চাইছি। উন্নয়নের কাজে গতি আনার জন্য সবাইকে বলা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, দলের জনপ্রতিনিধিরা তো বটেই, নির্দলেরাও এসেছেন। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। অনীতের কথায়, ‘‘চেয়ার বা ক্ষমতার রাজনীতি অনেক হয়েছে। আর নয়। গ্রামের মানুষ আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে বসে রয়েছে। তা পালন করতে হবে, সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কিছু নিয়ম নীতি তো মানতেই হবে। বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তত্ত্বাবধানে করা হচ্ছে।’’
পাহাড়ের ৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৮টি প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার দখলে এসেছে। এর মধ্যে ৭টি প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ভোটে জিতেছিল। গত শনিবার পেডং পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল দলে যোগ দেওয়ায় সেটিও শাসক দলের ঝুলিতে য়াচ্ছে। ইতিমধ্যে অনীত ঘোষণা করলেন, পাহাড়ের ন’টি ব্লকের ন’টি পঞ্চায়েত সমিতিই তাঁদের দখলে আসতে চলেছে। এতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মিরিক পঞ্চায়েত সমিতিতে ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় থাকছে। সেখানেও মহাজোটের অন্দরে বড় ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভোটের আগেই দার্জিলিং ও কালিম্পং মিলিয়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে ৬০টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রার্থীরা৷
মোর্চা সূত্রের খবর, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে নজরদারির কথাও দলে আলোচনা চলেছে। বিশেষ করে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজে নজরদারির কথা ভাবা হচ্ছে। গ্রামসভা ছাড়াও দলের তরফে এলাকায় ভিত্তিক ‘মনিটারিং টিম’ গড়ার প্রস্তাব ভোটের আগেই নিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy