অর্পিতা ঘোষ। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় জানিয়েছেন। এমনকি, কাটমানি নিয়ে কারও অভিযোগ থাকলে সরাসরি প্রশাসনকে জানাতে বলেছেন। এবার কাটমানির অভিযোগে বালুরঘাটে দলের জনপ্রতিনিধির বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় সেই বার্তারই পুনরাবৃত্তি করলেন অর্পিতা ঘোষ।
শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা জানান শুক্রবার বালুরঘাটে দলের জেলা পরিষদের সদস্য বিশ্বনাথ পাহানের বাড়িতে হামলা হয়। চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে একদল যুবক তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর তিনি বিশ্বনাথের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁর মোবাইল সুইচ্ড অফ থাকায় কথা বলতে পারেননি। তবে ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে অর্পিতা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যের বাড়িতে কাটমানি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের অভিযোগের ঘটনাটিকে শাসক দল গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তাদের কাছ থেকে কাটমানি ও তোলা আদায়ে অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে জেলা তৃণমূল। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নেতার নামে তার কাছে নালিশ হয়েছে বলে অর্পিতা জানান। তবে অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে পরামর্শ দিয়ে তিনি জানান, অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হলে আইনত পদক্ষেপ হবে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইন হাতে না তুলে অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি টোল ফ্রি ফোন নম্বরে অভিযোগ জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই পথেই পদক্ষেপ শুরু হচ্ছে বলে অর্পিতা জানান।
বালুরঘাট শহরে বাড়িতে পানীয় জল প্রকল্প থেকে গৃহনির্মাণের মতো একাধিক প্রকল্পে একাধিক নেতা এবং কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলা ও কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু আজও কারও বাড়িতে এক ফোঁটা জল পৌঁছয়নি। অনেকেই বাড়ি পাননি বলে অভিযোগ। বঞ্চিত বাসিন্দারা ইতিমধ্যে ক্ষোভে ফুঁসছেন।
সম্প্রতি কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগের নালিশ গিয়েছে অর্পিতার কাছে। তিনি কড়া হাতে ওই সমস্ত ঘটনার মোকাবিলা করবেন বলে জানান। অর্পিতা বলেন ‘‘কাটমানি ও তোলা আদায়ে অভিযুক্ত নেতাদের পাশে দল নেই।’’ তাঁদের বিরুদ্ধে যথাসময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে অর্পিতা এ দিন স্পষ্ট করেছেন।
বিরোধী বিজেপি অবশ্য শাসক দলের ওই পদক্ষেপকে দলীয় কৌঁশল বলে কটাক্ষ করেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারের দাবি, দলে ভাঙন ঠেকাতে তৃণমূল এখন কাটমানিকে অস্ত্র করে বিরূপ নেতা-কর্মীকে বাগে আনার চেষ্টা করছে। কেউ দল ছেড়ে গেলেই তাঁর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে কিংবা অভিযোগ দায়ের করে গ্রেফতারের ভয় দেখাতে শুরু করেছে। তৃণমূলের জেলা পরিষদের ওই সদস্য বিশ্বনাথ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার খবর পেয়ে লোক পাঠিয়ে বাড়িতে হামলা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিশ্বনাথও সেই আশঙ্কা করে জানান, বাড়িতে হামলা হলেও তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy