প্রতিবাদ: রাস্তায় ছবি আঁকছেন শিল্পীরা। ছবি: সন্দীপ পাল
যানের উপরে রাখা একাধিক জার৷ যার প্রত্যেকের মধ্যে একটি করে শিশু৷ চার দিকে মেঘ৷ তার মধ্যে হিংস্র একটি হাত জার ভর্তি শিশুগুলিকে নিয়ে যানটি টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷
জলপাইগুড়ি শহরের সমাজপাড়া মোড়ে এমন ছবি দেখে বার বার থমকে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন পথ চলতি মানুষ৷ ছবিটিকে আরও ফুটিয়ে তুলতে তখন তুলির টান দিচ্ছেন একদল শিল্পী৷ ছবি যত ফুটে উঠছে ততই বিস্ময়ের সঙ্গে মনের ভিতরে প্রশ্ন জাগছে সাধারণ মানুষের—এত বীভৎস কখনও হতে পারে?
শিশু পাচার নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই হইচই চলছে জলপাইগুড়িতে৷ এই অপরাধের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছেন প্রচুর মানুষ ও সংগঠন৷ বৃহস্পতিবার সেই প্রতিবাদে সামিল হলেন এখানের একদল শিল্পী৷ যাঁরা রং-তুলিকে হাতিয়ার করে এই অপরাধের প্রতিবাদ জানালেন৷ তবে শুধু শিল্পীরাই নন, শিশু পাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে ছবিতে রং ছোঁয়ালেন অনেক সাধারণ মানুষও৷
জলপাইগুড়ির সমাজপাড়া মোড়ে এ দিনের এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন আঠারো জন শিল্পী৷ নেতৃত্বে ছিলেন শিল্পী নীহার মজুমদার৷ নীহারবাবুর কথায়, জলপাইগুড়ি শহরের মতো সুন্দর একটা শহরের এমন অপরাধটা থাবা বসিয়েছে ভাবলেই যেন মনটা শিউরে ওঠে৷ তাই এই প্রতিবাদ৷ প্রতিবাদে সামিল শিল্পী শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়, নির্মল চন্দরা বলেন, ‘‘যারাই এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাক না কেন, আমরা চাই তারা এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধে সামিল হওয়ার কথা স্বপ্নেও না ভাবেন৷’’
জলপাইগুড়িতে চন্দনা চক্রবর্তীর হোম থেকে শিশু পাচারের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই শহরের মানুষ যে দুঃখ পেয়েছিলেন, তারই প্রকাশ ঘটেছে এ দিন শিল্পীদের তুলিতে। শহরের মানুষ শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, শিল্পীদের এই ছবি প্রতিবাদ হিসেবে দরকার ছিল। এই চবি থেকেই বোঝা যাচ্ছে, শহরের সাধারণ মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ। শহরের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রশাসন যা করার করছে। দু’জন সরকারি আধিকারিকও গ্রেফতার হয়েছে। আমরা চাই এরপরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy