পরিবার: জলপাইগুড়ির বাড়িতে স্বপ্না। নিজস্ব চিত্র
রাজনীতিতে যোগ দিতে চান সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মণ। তবে এখনই নয়। বছর তিনেক পরে। আপাতত তিন বছর খেলাধুলোর মধ্যেই থাকবেন তিনি। তার পরে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন স্বপ্না।
লোকসভা ভোট শেষের পথে। দু’বছর পরে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। স্বপ্না যা বললেন, তাতে তারও এক বছর পরে তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা। কোন দলে তিনি যোগ দেবেন, তা অবশ্য ভেঙে বলেননি এশিয়াডে হেপ্টাথলনে সোনাজয়ী স্বপ্না। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি জলপাইগুড়ির বাড়িতে এসেছেন। চার দিন থেকে আগামী ২০ মে কলকাতায় ফিরবেন। ২৭ মে স্নাতকের ফাইনাল পরীক্ষা রয়েছে স্বপ্নার।
গরিব পরিবারের খেলোয়াড় এবং মেয়েদের জন্য কিছু করাই তাঁর রাজনীতিতে আসার প্রেরণা, দাবি করলেন স্বপ্না। সেই সঙ্গে নতুন প্রতিভাও তুলে আনতে পারবেন বলে জানালেন। এখন কলকাতার সাই-এর ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বর্তমানে স্বপ্নার বয়স ২২। আরও তিন বছর খেলাধুলোর মধ্যে থাকবেন বলে জানালেন। স্বপ্না বলেন, ‘‘গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রচুর প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে। আমিও গবির পরিবারের মেয়ে। দেশের হয়ে সোনা জিতে এসেছি। আমাকে অনেকেই সাহায্য করেছেন। আমিও তাই সবাইকে সাহায্য করতে চাই।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘সে জন্য দরকার একটি প্ল্যাটফর্ম। রাজনীতিতে এলে আশা করি আমার ইচ্ছে পুরণ হবে।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আরও তিন বছর খেলাধুলোর মধ্যে থাকব। তার পর আমি রাজনীতি আসতে চাই। তবে কোন দলের হয়ে রাজনীতি করব, এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’’
মেয়ের রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে মা বাসনা বর্মণের কোনও কিছু বলার নেই। তিনি নিরিবিলিতে মেয়েকে পেয়ে বেজায় খুশি। প্রশিক্ষণের সময়ে কোমরে চোট পেয়েছেন স্বপ্না। মায়ের কাছে তাই যত্নআত্তি চলছে। প্রতিদিন নতুন নতুন নিরামিষ পদ রেঁধে মেয়েকে খাওয়াচ্ছেন তিনি।
মায়ের কথায়, ‘‘মেয়ে বাড়িতে এসেছে অনেক দিন পরে। তাই মেয়ের পছন্দের খাবার তৈরি করে দিয়েছি। ও নিরামিষ খেতে বেশি ভালবাসে। আগের মতো ভিড় নেই বাড়িতে। তাই মেয়ের সঙ্গে সময় নিয়ে কথা বলতে পারছি।’’
স্বপ্না জানালেন, ব্যথার ওষুধ খেয়েই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি। জলপাইগুড়ি থেকে ফিরে ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে হবে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy