প্রতীকী ছবি।
টানা ১৯ দিন সিআইডি হেফাজতে থাকার পর ভুয়ো চিকিৎসক খুশিনাথ হালদারকে নিজেদের হেফাজতে নিল আলিপুরদুয়ার থানা। বুধবার দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে আনা হয় তাঁকে। জলপাইগুড়ি জেলায় কাজ করার পর ওই ভুয়ো চিকিৎসক কী ভাবে আলিপুরদুয়ারে কাজ পেলেন তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ফ্রেব্রুয়ারিতে মাসে আলিপুরদুয়ার জেলায় চুক্তির ভিক্তিতে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা খুশিনাথ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষের দিকে তাঁর চিকিৎসকের শংসাপত্রটি জাল তা জানতে পারে জেলা
স্বাস্থ্য দফতর।
তার আগেই ২৪ এপ্রিল কলকাতার ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরেই ৪ মে দলগাঁও স্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ৪ মে আলিপুরদুয়ার থানায় খুশিনাথের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন আলিপরদুয়ারের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক।
এ দিন সরকারী আইনজীবী জয়ন্ত মল্লিক জানান, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। বিচারক বিকাশ লামা দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আদালতে তোলার সময় খুশিনাথকে জিজ্ঞাসা করা হয় এই প্রতারণার সঙ্গে কারা যুক্ত? তিনি জানান, সিআইডিকে সে সব জানিয়েছেন। এ দিন খুশিনাথের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর স্ত্রী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর স্ত্রী জানান, ১৯৯৮ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। চিকিৎসক পরিচয়ে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দু’টি কন্যা সন্তান রয়েছে। মধ্যরাঙালি বাজনা এলাকার বাসিন্দা দুলাল আর্য জানান, ২০১৬ সালে এলাকার শিশুবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন খুশি নাথ। ভাল রোগী দেখলেও সহকর্মীদের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই বিবাদে
জড়াতেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy