নদীর উপর নির্মাণ। —নিজস্ব চিত্র।
নদী যেন নালায় পরিণত হয়েছে! অভিযোগ, নদীর পার দখল করে তৈরি হয়েছে একের পর এক বহুতল। কোথাও ক্ষীণ হয়ে আসা নদীর উপর তৈরি হয়েছে ব্যক্তিগত সেতুও। এই চেহারা শিলিগুড়ি মহকুমার বাগডোগরার বুড়ি বালাসন নদীর। তা নিয়ে শুরু হয়েছে বাম-বিজেপি এবং তৃণমূলের রাজনৈতিক চাপানউতর।
দূষণের গ্রাসে আগেই পড়েছে বাগডোগরার বুড়ি বালাসন নদী। এ বার বিপদ দখলদারি। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। অনেকের বক্তব্য, নদীর পার ধীরে ধীরে দখল করে তৈরি হচ্ছে কংক্রিটের নির্মাণ। এমনকি, তৈরি হয়েছে ব্যক্তিগত সেতুও। যার জেরে নদীটি নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে বলেও অভিযোগ। তার জেরে স্থানীয় কৃষকরাও বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ।
বাগডোগরার বাসিন্দা রবীন্দ্র বর্মণ যেমন বলছেন, ‘‘বুড়ি বালাসন নদী এখন নালায় পরিণত হয়েছে। এই নদী থেকে জল নিয়ে মুলাইজোত, ধনসরা, নেমারুজোত-সহ বিভিন্ন এলাকায় সেচকার্য হত। কিন্তু নদীর উপর অবৈধ নির্মাণ হওয়ায় এখন কৃষিকাজে অসুবিধা হচ্ছে।’’ উত্তম সেন নামে ওই এলাকারই এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘নদীর এই অবস্থার জেরে কৃষিকাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আগে নদীর উপর বাঁশ দিয়ে দোকান তৈরি করা হত। এখন অনেকে পাকা দোকান করছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে নদীতে জল কমে যাওয়ায় কৃষিকাজে ব্যাঘাত ঘটছে।’’
এ নিয়ে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের দিকে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল নেতারা এই নদী দখল করে বিশাল বহুতল নির্মাণ করেছেন। পুলিশ এবং প্রশাসন জেনেবুঝেও চুপচাপ রয়েছে।’’ একই অভিযোগ সিপিএমেরও। বাগডোগরার সিপিএম নেতা শীতল দত্তের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বুড়ি বালাসন নদীকে নালায় পরিণত করেছে। নদীর উপর দু’টি বেসরকারি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা নদী দখল করে তিন তলা বাড়ি বানিয়ে দোকান ভাড়া দিয়েছেন।’’
বাম এবং বিজেপির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটি (সমতল)-র সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলার বলেছেন। এ নিয়ে রাজ্য পুলিশ নিজের কাজ করছে। আইন আইনের পথে চলবে। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, রং না দেখে কাজ করতে। প্রশাসনও তাই করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy