প্রতীকী ছবি।
পরিবারের লোকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের সামনেই রোগিণীকে পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, বাড়ির কোনও মহিলা সঙ্গে থাকুন। তাঁকে নিয়ে তিনি এবং নার্সিং স্টাফ রোগিণীকে দেখবেন। পরিবারের লোকেরা তাতে রাজি হননি। চিকিৎসক তাঁদের কথা মতো রোগিণীকে দেখতে না চাইলে নার্সিংহোমের মধ্যেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাটিগাড়ার এক নার্সিংহোমের ঘটনা। নার্সিংহোমের নিরাপত্তারক্ষী ও অন্য কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বুধবার তা নিয়ে মাটিগাড়া থানায় একটি অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রতিবাদে ওই নার্সিংহোমের বহির্বিভাগে এ দিন কোনও রোগী দেখেননি চিকিৎসকেরা।
বেলাকোবার বাসিন্দা রোগিণীর স্বামী সুমন মিত্র জানান, বিষয়টি যে ভাবে বলা হচ্ছে, তা নয়। কিডনি, ফুসফুসের অসুখে আক্রান্ত তাঁর স্ত্রীকে তিনি বেলা ৩টে নাগাদ নার্সিংহোমে নিয়ে যান। তখনই টাকা নেওয়া হয়। শয্যা ঠিক করে ভর্তি করতে আরও দু’ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তার পরেও চিকিৎসক আসছিলেন না। যখন তিনি আসেন, তখন আর এক রোগীর পরিবারের সঙ্গে গোলমাল, কথা কাটাকাটি করে আসছেন দেখে উদ্বিগ্ন হন সুমনবাবুরা। সুমনবাবু বলেন, ‘‘চিকিৎসক ওই অবস্থায় আমাদের বেরিয়ে যেতে বলেন। স্ত্রীর দাদাকে ‘গেট আউট’ বলে দেন। রোগিণীকে দেখতে অস্বীকার করেন।’’ নার্সিংহোমের তরফে অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার কৌশিক হালদার বলেন, ‘‘চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলার জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’ রোগিণীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy