যৌনকর্মীদের পল্লি এলাকায় শিশু ও বয়স্কদের স্কুল খোলায় উদ্যোগী হবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সোমবার শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সমীর নার্জিনারি। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সমাজ নগরে প্রায় ৫০ জন যৌনকর্মী রয়েছেন। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৩০-৩৫। তাদের জনা পনেরো স্কুল যায় না। তার কারণ যৌনকর্মীর সন্তান হওয়ায় স্কুলে গেলে সহপাঠীদের কাছ থেকে নানা কটূক্তি শুনতে হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির তরফে ২০০৫ সালে বিদ্যাসাগর সর্ব শিক্ষা বিদ্যালয় চালু করা হয়েছিল, কিন্তু অর্থের অভাবে তা এখন বন্ধ। সমীরবাবু জানান, এলাকায় স্কুলের প্রয়োজন রয়েছে। শিশু ও বয়স্করা যাতে পড়াশোনা করতে পারে, সে চেষ্টা করা হবে। সঙ্গে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা রাখা হবে। সে জন্য এলাকায় একটি ঘরের দরকার। তিনি বলেন, ‘‘আমার চেষ্টা শুরু করেছি। আশা করছি শীঘ্রই স্কুল চালু করা যাবে।” অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু জানান, ২০০৫ সালে একটি স্কুল শুরু করেছিলেন তাঁরা। অর্থাভাবে তা পরে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘‘গত সরস্বতী পুজোয় সে সংবাদটি দেখেই এ দিন চেয়ারম্যান এলাকা পরিদর্শন করেন। এবং স্কুল চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন।” এলাকার বাসিন্দা তথা দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সদস্য শিপ্রা সিংহ জানান, এই পল্লির অধিকাংশ বাচ্চা বাইরের স্কুলে পড়তে চায় না। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় স্কুল হবে শুনে ভালো লাগছে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যৌনকর্মীরা জানান, ‘‘আমাদের সন্তানদের সমাজ ভাল ভাবে নেয় না। হাসি ঠাট্টা করে। এলাকায় স্কুল হলে তারা পড়াশোনা করতে পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy