Advertisement
০৫ মে ২০২৪

‘হুমকি’র জের, রাতভর দলের দফতরেই

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “জেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক নেতাকর্মী তৃণমূলের হুমকির জেরে বাড়িছাড়া হয়ে রয়েছে।

পাত-পেড়ে: দফতরেই চলছে খাওয়াদাওয়া। নিজস্ব চিত্র

পাত-পেড়ে: দফতরেই চলছে খাওয়াদাওয়া। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১০
Share: Save:

মনোনয়ন জমা দেওয়ার ‘অপরাধে’ কোচবিহারের গ্রামে দলের নেতাকর্মীদের তৃণমূলের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ওই ব্যাপারে পুরো তালিকা তৈরি করে পুলিশ, প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের হুমকির জেরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে অনেকেই বাড়ি ফেরার সাহস পাচ্ছেননা। অনেকে আবার মনোনয়ন জমা করাতে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়াতেও বাড়িতে থাকতে পারছেন না। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় দলের নেতারাও হুমকির মুখে পড়ছেন। পরিস্থিতির জেরে নিশিগঞ্জের বাসিন্দা বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনিল মালাকারও বৃহস্পতিবার রাত দলের কোচবিহারের দফতরে কাটান।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “জেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক নেতাকর্মী তৃণমূলের হুমকির জেরে বাড়িছাড়া হয়ে রয়েছে। প্রাক্তন জেলা সভাপতি-সহ অনেকে আশ্রয় নিয়ে আছেন। সবার তালিকা তৈরি করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে পুলিশ, প্রশাসনে জানাব।”

দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, দলের জেলা দফতরেই আশ্রয় নেওয়া নেতাকর্মীদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ডাল, তরকারি, ভাত খাওয়ান হয়। ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সন্ধ্যারাণি সাধুঁখা, মায়া দাসরা বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছি। বাড়ি ফেরার সাহস পাচ্ছি না।” রামপুরের অনিমা সরকার বলেন, “ ভয়ে স্বামীকে নিয়ে কোচবিহার এসেছি। ছেলে আত্মীয়ের কাছে রয়েছে।” উত্তর রামপুরের দিলীপ বর্মন বলেন, “ গ্রামে হুমকি, সন্ত্রাস চলছেই।” এমন পরিস্থিতিতে তাই চিন্তা বেড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলে যুক্তদের পরিবার, পরিজনদের অনেকের। বিজেপির এক নেতা বিরাজ বসু বলেন, “ ভোটে লড়া ঝুঁকি হয়ে পড়ছে। তবে মানুষ আমাদের ভরসা।”

তৃণমূল নেতৃত্ব ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। দলীয় সূত্রের দাবি, সংগঠন, জনভিত্তি না থাকায় নজর ঘোরাতে অপপ্রচার করতে চাইছে বিজেপি। তাতে আখেরে কোনও লাভ হবে না। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। ভোট ময়দানে তো বিজেপির কোনও লোকই নেই। নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা হচ্ছে। সব আসনেই আমরা লড়ব।” তুফানগঞ্জ ২ ব্লকের তৃণমূল নেতা স্বপন সাহা বলেন, “নিশ্চিত পরাজয় বুঝে বিজেপি অপপ্রচার করছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যাপারে তাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েনি। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “ওরকম অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ হলে খতিয়ে দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE