Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জোর লড়াই ত্রয়ীর, জমজমাট মালদহ

ভোটের ময়দানে এই ত্রয়ীর তরজাও জোর। কেউ দিচ্ছেন বহিরাগত তকমা, কেউ বা আনছেন দলবদলের অভিযোগ, আবার কেউ ক্ষমতায় থেকেও এলাকার উন্নয়ন না করা নিয়ে দাগছেন তোপ।

টক্কর: এই তিনের লড়াইয়েই ভোট যুদ্ধ জমে উঠেছে মালদহে। নিজস্ব চিত্র

টক্কর: এই তিনের লড়াইয়েই ভোট যুদ্ধ জমে উঠেছে মালদহে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ০৩:২২
Share: Save:

একজন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি, একজন পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি, আর অপর জন সেই পঞ্চায়েত সমিতিরই বর্তমান সভাপতি। মোট প্রার্থী সাতজন হলেও হেভিওয়েট এই ত্রয়ীর লড়াইয়েই এ বার জমজমাট মালদহ জেলা পরিষদের ৩০ নম্বর আসন।

ভোটের ময়দানে এই ত্রয়ীর তরজাও জোর। কেউ দিচ্ছেন বহিরাগত তকমা, কেউ বা আনছেন দলবদলের অভিযোগ, আবার কেউ ক্ষমতায় থেকেও এলাকার উন্নয়ন না করা নিয়ে দাগছেন তোপ। তবে তাঁরা সকলেই মানছেন যে এই আসনে পানীয় জল থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, সমস্যা রয়েছে প্রচুর। সেই সমস্যার কথা বলেই ভোটে তিন হেভিওয়েট।

পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর, মঙ্গলবাড়ি ও মুচিয়া- এই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকা নিয়েই জেলা পরিষদের ৩০ নম্বর আসন। মোট প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা সাত হলেও মানুষের সঙ্গে কথা বলে যা নির্যাস, তাতে লড়াই হচ্ছে তিন প্রার্থীর মধ্যেই।

প্রথম জন কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল সরকার। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৬ এর অক্টোবর মাস পর্যন্ত পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। পরে অনাস্থায় হেরে যান। দ্বিতীয় জন তৃণমূলের সুবোধ চৌধুরী। সুবোধ ২০১৩তে কংগ্রেসের টিকিটেই পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জেতেন। কিন্তু ২০১৬ তে দল বদলে নাম লেখান তৃণমূলে এবং নভেম্বরে গোপালকে সরিয়েই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। আর, তৃতীয় জন বিজেপি প্রার্থী উজ্জ্বলকুমার চৌধুরী। তিনি ২০০৮ এ কংগ্রেসের টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্যের হয়ে ২০১১ এ সভাধিপতি হন। ২০১৩ এ তিনি তৃণমূলে যান এবং সদস্য হন। এ বার তিনি বিজেপিতে।

এই তিনজনের মধ্যে লড়াইও বেঁধেছে জোর। যেমন, সোমবার প্রচারের ফাঁকে কংগ্রেসের গোপাল বলেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থী বহিরাগত, কোতোয়ালির বাসিন্দা আবার তিনি দলবদলুও। ১০ বছরে তিন বার দল বদলালেন। তৃণমূল প্রার্থীও দলবদলু। মানুষ সব জানে, তাঁরাই জবাব দেবেন।’’ মানুষ কংগ্রেসের পাশে, এটাই ভরসা, জবাব তাঁর।

মুচিয়ার লক্ষ্মীপুরে তৃণমূলের সুবোধের অবশ্য অকপট জবাব, ২০১৩তে পঞ্চায়েত সমিতি কংগ্রেস দখল করে ঠিকই কিন্তু সদস্য হয়েও কোনও কাজই করতে পারিনি। তাই মানুষের জন্য কাজ করতে, উন্নয়ন করতেই তৃণমূলে গিয়েছিলাম। গোপাল সভাপতি হয়ে কোনও কাজই করেননি। বিজেপির প্রার্থীতো তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে গিয়েছেন।’’

বিজেপির উজ্জ্বল বলেন, ‘‘বিরোধীরা আমাকে বহিরাগত বলছে, কিন্তু আমি কি লন্ডনে থাকি? আসলে বিজেপিকে ভয় পেয়েই উল্টোপাল্টা বলছে ওরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Panchayat Election 2018 Heavyweight Fight
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE