Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নির্দলই কাঁটা ঘাস-ফুলের

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “নির্দল হিসেবে যারা দাঁড়াবে তাঁদের নাম রাজ্যে পাঠানো হবে। রাজ্য নেতৃত্ব যা নির্দেশ দেবে সেই হিসেবে ব্যবস্থা নেবে।

সঙ্গী: জলপাইগুড়িতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পথে। ছবি: সন্দীপ পাল

সঙ্গী: জলপাইগুড়িতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পথে। ছবি: সন্দীপ পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:০৪
Share: Save:

‘নির্দল’ কাঁটা এ বারে প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূলের। দিনহাটা তো বটেই গোটা কোচবিহার জেলা জুড়ে সামনে এসেছে এই ছবি। নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন অনেক তৃণমূল নেতাই। অনেক আসনে আবার তৃণমূলের হয়েও একাধিক প্রার্থী রয়েছে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব। কারা কারা এই নির্দলের তালিকায় রয়েছেন তাদের নাম ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত করেছে তৃণমূল। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের দিন পেরোনোর একদিনের মধ্যেই ওই তালিকা রাজ্যে পাঠিয়ে দেবে কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব।

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “নির্দল হিসেবে যারা দাঁড়াবে তাঁদের নাম রাজ্যে পাঠানো হবে। রাজ্য নেতৃত্ব যা নির্দেশ দেবে সেই হিসেবে ব্যবস্থা নেবে। তবে এটুকু বলতে পারি জোড়া ফুল চিহ্নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কেউ জয়ী হতে পারবে না।”

নির্বাচন কমিশন সুত্রের খবর, ৮ এপ্রিল পর্যন্ত কোচবিহার জেলা পরিষদের ৩৩টি আসনে ৩৮জন প্রার্থী দিয়েছে। এ ছাড়া ৬ টি আসনে নির্দল প্রার্থী রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ৩৬৬ টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ৪৮২ জন, নির্দল ৪১ জন। গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৯৬৬ আসনের মধ্যে তৃণমূলের প্রার্থী ২৫৩৬ জন। এর বাইরে নির্দল রয়েছে ২৩৮ জন। এর মধ্যে দিনাহাটায় প্রায় সব আসনে নির্দল প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদ সদস্য কৃষ্ণকান্ত বর্মনকে এ বারে টিকিট দেয়নি দল। কৃষ্ণকান্তবাবু ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদের আসনের জন্যেই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “দল আমাকে টিকিট দেয়নি। কিন্তু যুব তৃণমূল আমার সঙ্গে আছে। পুরনো কর্মীরাও আমার সঙ্গে আছে। তাই লড়াই করব। জয়ী হব আশা রাখি।’

দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সুবল রায় এ বারে জেলা পরিষদে টিকিটের দাবিদার ছিলেন। তাঁর স্ত্রী জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য। তিনিও টিকিট পাননি। সুবলবাবু নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী বর্তমান ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেন। সুবলবাবু বলেন,“দলের পুরনো কর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন।’’ নুর আলম হোসেন বলেন, “যারা দলের নির্দেশ মানছেন না তাঁদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। দলই ব্যবস্থা নেবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE