নেত্রী: প্রার্থীদের নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা হোক কিংবা পঞ্চায়েত ভোট। মালদহ ভোট আসলেই উঠে আসে প্রয়াত গনিখান চৌধুরীর নাম। সোমবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে দলীয় জেলা পরিষদের প্রার্থীদের নিয়ে গনিখানের মাজারে শ্রদ্ধা জানালেন সাংসদ তথা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুর। তারপরেই সেই প্রার্থীদের নিয়ে মালদহের গ্রামোন্নয়ন ভবনে গিয়ে হাজির হন তিনি।
তাঁর মতোই দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে হাজির হন বাম নেতৃত্ব। তবে দলীয় ভাবে না এসে পৃথক পৃথক ভাবে জেলা পরিষদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। আর সুষ্ঠ ভাবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তৎপর জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে জেলায় কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি তাঁদের।
সাত দিন ধরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চললেও মালদহে কোনও হিড়িক ছিল না। জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনেও ছিল একই ছবি। মনোনয়ন কক্ষগুলোতে দেখা গিয়েছে আধিকারিকদের গল্প করে সময় কাটাতে।
সোমবার শেষ দিনে উপচে পড়ল ভিড়। জেলা প্রশাসন চত্বরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল এ দিন। অতিরিক্ত পুলিশ, একাধিক ডিএসপি পদ মর্যদার অফিসার মোতায়েন ছিল প্রশাসনিক চত্বরে। তবে উত্তেজনা না থাকলেও সরগরম ছিল প্রশাসনিক ভবন চত্বর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস ১৯টি, বিজেপি ১৮টি, তৃণমূল ১৪টি এবং বামেরা ১৪টি জেলা পরিষদের আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। এ দিন সকালে হবিবপুরের প্রার্থী হেমন্ত শর্মা, কালিয়াচকের মিজানুর রহমান সহ একাধিক জেলা পরিষদের প্রার্থীদের নিয়ে গনির মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান মৌসম নুর। তারপরেই সেই প্রার্থীদের সঙ্গে হাজির হন প্রশাসনিক ভবন চত্বরে।
তবে এ দিন তৃণমূলের ১৪জন জেলা পরিষদের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও হাজির ছিলেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। এক দিনও দেখা যায়নি দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে। তিনি বলেন, ‘‘সব নেতা ভাগাভাগি হয়ে কাজ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy