Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিডিও দফতরে তির-ধনুক নিয়ে নজর রাখল বিজেপি

বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপি সন্ত্রাস করে না। ভোট লুঠ করতে জেলার কোথাও তৃণমূলের সন্ত্রাস হলে বিজেপির কর্মীরা প্রয়োজনে তীর ও ধনুক নিয়ে রুখে দাঁড়াবে।’’

পাহার: রায়গঞ্জের বিডিও অফিসের সামনে। নিজস্ব চিত্র

পাহার: রায়গঞ্জের বিডিও অফিসের সামনে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ১৫:১১
Share: Save:

গত ৫ এপ্রিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার। বিডিও অফিসে ভাঙচুর ও পুলিশকর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় বিজেপির চার কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবারও তৃণমূল মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিতে পারে, এই আশঙ্কায় এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ ইটাহারের ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচটি ট্রাকে চেপে বিজেপির শতাধিক কর্মী তির, ধনুক ও লাঠি নিয়ে ইটাহার সদর এলাকায় হাজির হন। এরপর তাঁরা দুপুর তিনটে পর্যন্ত ইটাহারে দলের ব্লক কার্যালয়ে বসে অপেক্ষা করেন।

বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের দাবি, তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেয়নি। তৃণমূল বাধা দিলে বিজেপির কর্মীরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেন। বিজেপির কর্মীরা অযথা তীর ও ধনুক নিয়ে বিডিও অফিসের সামনে জড়ো হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে, তারজন্য দলের জেলা ও ব্লক নেতাদের নির্দেশে তাঁরা দিনভর দলীয় কার্যালয়ে বসে দলের কর্মীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ার উপর খোঁজখবর রাখেন। প্রশাসনের দাবি, এ দিন তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম ও নির্দল মিলিয়ে ২০ জন প্রার্থী ইটাহারের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহের দাবি, পুলিশের কাছে জেলার কোথাও অস্ত্র নিয়ে জমায়েতের কোনও খবর নেই। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, মনোনয়ন তোলা ও জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম একজোট হয়ে জেলাজুড়ে কোথাও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জমায়েত করে আবার কোথাও তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপি সন্ত্রাস করে না। ভোট লুঠ করতে জেলার কোথাও তৃণমূলের সন্ত্রাস হলে বিজেপির কর্মীরা প্রয়োজনে তীর ও ধনুক নিয়ে রুখে দাঁড়াবে।’’

অন্যদিকে, এ দিন সকাল থেকে রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ ও কালিয়াগঞ্জের বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ভিড় করেন। ফলে দিনভর সেইসব জায়গায় উত্তেজনা থাকায় গোলমাল রুখতে পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ ও কালিয়াগঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম ও নির্দল মিলিয়ে ৫০ জনেরও বেশি প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ ও জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অপূর্ব পালের দাবি, তৃণমূল এ দিন বহু জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE