নবাগত: (বাঁ দিক থেকে) বাসন্তী, উন্নতি, ললিতা। নিজস্ব চিত্র
হাতে মাত্র দু’সপ্তাহ। নাওয়া-খাওয়া নেই। বইপত্র তাকে তুলে ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিন কলেজ ছাত্রী। অন্য কারও জন্য নয়, নিজেদেরই প্রচারের কাজে। বাসন্তী, উন্নতি আর ললিতা—তৃণমূলের এই তিন নবাগত প্রার্থীই এখন হয়ে উঠেছে মালদহের রাজনীতিতে চর্চার বিষয়। রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ হলেও মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথীকে হাতিয়ার করে ভোটের বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।
গাজল ১ পঞ্চায়েতের হরিদাসপুর গ্রামের বাসিন্দা বাসন্তী বর্মন গাজল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের সাধারণ বিভাগের ছাত্রী। মাস ছয়েক আগে ওই গ্রামেরই পঙ্কজ বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তৃণমূলের সমর্থক হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে যুক্ত নন তিনি। কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাসন্তী ওই অঞ্চলের ১১৪ নম্বর বুথের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন।
তাঁর মতোই গাজল ২ পঞ্চায়েতের ছিলিমপুর গ্রামের ৬ নম্বর বুথের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন উন্নতি বিশ্বাস। তিনিও গাজল কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের বাংলায় স্নাতক স্তরে পড়ছেন। তাঁর পরিবারের লোকেরাও রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেননি। সক্রিয় ভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করন উন্নতিও। হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী পঞ্চায়েতের বাবুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ললিতা হাঁসদা মালদহ মহিলা কলেজের বাংলা স্নাতকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাবা সুনীরাম হাঁসদা নিজের জমিতেই চাষবাস করেন।
প্রচারে গিয়ে মানুষের কাছে কী বলে ভোট চাইছেন? তিন প্রার্থী এক যোগে বলেন, “গ্রামের কাকিমা-মাসিমাদের বোঝানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে জীবন বদলের গল্প।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, “শুধু বন্ধুদের জন্যই নয়, জেলার সমস্ত আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের জন্য আমরা নেমে পড়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy