Advertisement
১৬ মে ২০২৪

আটশো ছাড়াল নালিশের সংখ্যা

ময়নাগুড়ির পদমতির চরের বুথে ছাপ্পা ভোট শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন বিরোধীরা।

জ্বলন্ত: শিকারপুরে জ্বলছে ব্যালট। ছবি: সন্দীপ পাল

জ্বলন্ত: শিকারপুরে জ্বলছে ব্যালট। ছবি: সন্দীপ পাল

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৮ ০৫:১৮
Share: Save:

জেলার কন্ট্রোল রুম সবে খুলেছে। ভোট শুরু হতে তখনও ঘণ্টাখানেক বাকি। ল্যান্ড লাইনে ফোন বাজল। ময়নাগুড়ির পদমতির চরের বুথে ছাপ্পা ভোট শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন বিরোধীরা। অভিযোগ শুনে ফোন নামিয়ে রেখে সরকারি আধিকারিকের মন্তব্য “এ তো ভোট শুরু না হতেই অভিযোগ শুরু হয়ে গেল!” বিকেলের মধ্যে অভিযোগ আটশো পেরিয়ে গেল।

ভোট শুরু হওয়ার পরে ঘণ্টাখানেক পরেই রাজগঞ্জের শিকারপুরের বুথে ঢুকে জনা কয়েক যুবক ব্যালট ছিনতাই করে বলে অভিযোগ। তাতে অবশ্য ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি। বাসিন্দাদের দাবি, তার কিছু পরে শ’দেড়েক যুবক এসে ভোটকেন্দ্র ঘিরে ফেলে ব্যালট বাক্স নিয়ে গিয়ে প্রথমে নদীতে ফেলে, পরে জ্বালিয়ে দেয়। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে কুমলাইতেও। দুই কেন্দ্রেরই পুর্ননির্বাচন হবে বলে কমিশন জানিয়েছে।

বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের তরফে সোমবারের ভোটকে জলপাইগুড়ির শান্তির ঐতিহ্যে ‘কলঙ্ক’ বলে দাবি করেছে। বামেদের তরফে আজ, মঙ্গলবার ধিক্কার মিছিল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার বলেন, “জলপাইগুড়িতে বরাবরই ভোট হয় শান্তিপূর্ণ ভাবে। তৃণমূল সেই ঐতিহ্য নষ্ট করেছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, “বিরোধীরা ময়দানেই নেই। ওরাই নানা প্ররোচনা তৈরি করেছে। তবে দলের কর্মীরা ফাঁদে পা দেননি। শান্তি রক্ষা করেছেন।”

শান্তিরক্ষার কথা শোনা গিয়েছে মণ্ডলঘাটের তৃণমূল কর্মীদের মুখেও। কোনপাকড়ির ভূজারিপাড়ায় ভোট কেন্দ্রে যেতে বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশে খবর দিলে বাহিনী এলে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা দলটি রাস্তা ছেড়ে বুথে চলে যায় বলে দাবি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বুথের কাছে বিরোধীরা ঘেষতেই পারেনি বলে দাবি। নাগরাকাটা হাইস্কুলে সিপিএম কর্মীদের মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে বাহিনী এসে উল্টে বিরোধীদেরই লাঠি চার্জ করে হঠিয়ে দেয় বলে দাবি। ক্রান্তির রাজাডাঙায় বিজেপি এজেন্টদের মারধর করা বলে দাবি। সৌরভবাবুর দাবি, “সব মিথ্যে অভিযোগ। এলাকায় শান্তি সুনিশ্চিত করেছে আমাদের কর্মীরাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE