Advertisement
E-Paper

চাপের মুখে দিল্লি-যাত্রা গুরুঙ্গদের

চাপের মুখে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন বিমল গুরুঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবির কথা মনে করাতেই মোর্চার প্রতিনিধিদের দিল্লি যাত্রা বলে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০৬
দার্জিলিঙে এক বৈঠকে গুরুঙ্গ। —নিজস্ব চিত্র

দার্জিলিঙে এক বৈঠকে গুরুঙ্গ। —নিজস্ব চিত্র

চাপের মুখে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন বিমল গুরুঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবির কথা মনে করাতেই মোর্চার প্রতিনিধিদের দিল্লি যাত্রা বলে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে।

এ দিনই কালিম্পঙে মেলার মাঠে দাঁড়িয়ে পৃথক জেলার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার পাহাড়ের বিভিন্ন বোর্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এক এক করে পাহাড়ে বোর্ডের সংখ্যা এখন ১৫। মোর্চার অন্দরের খবর, একে এতগুলি বোর্ড। সঙ্গে নতুন কালিম্পং জেলার কাজ শুরু। তায় আবার মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত গুরুঙ্গ-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে চাপ ক্রমশ বাড়ছে। তাই গুরুঙ্গ ফের কেন্দ্রের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এ দিন দুপুরে গোর্খা রঙ্গমঞ্চে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন গুরুঙ্গ। সেই বৈঠকে বিদর্ভকে নতুন রাজ্য করার প্রস্তাব নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মোর্চা প্রধান। বাজেট অধিবেশনে বিদর্ভকে নতুন রাজ্য ঘোষণার প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে এ দিন গুরুঙ্গই জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে নতুন করে আন্দোলন শুরুরও ইঙ্গিত দিয়েছেন গুরুঙ্গ। মোর্চা এনডিএ-র শরিক। কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর আস্থা রয়েছে বলে দাবি করেও চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এমনকী চাপ বাড়াচ্ছেন সাংসদের উপরেও। গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘দার্জিলিঙের সাংসদ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি নিজে দ্রুত গোর্খাল্যান্ড আদায়ের চেষ্টা করছেন। যদি সেই কাজ দ্রুত সারতে না পারেন তবে তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত।’’

বিধানসভা ভোটের আগে আলিপুরদুয়ারকে নতুন জেলা ঘোষণা করে সুফল ঘরে তুলেছে তৃণমূল। আলিপুরদুয়ারকে জেলা ঘোষণার পরে বিধানসভা ভোটে একটি বাদে জেলার সব আসনে জয় পায় তৃণমূল। শক্ত বাম দুর্গ বলে পরিচিত চা বাগানেরও দখল নেয় তৃণমূল। ঘরের কাছে সেই উদাহরণ দেখে মোর্চা নেতারা শঙ্কিত বলে খবর। চাপে থাকার কথা মালুম হয়েছে গুরুঙ্গের মন্তব্যেও। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকের সময় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘আমি আজকে খুব ভাল মেজাজে রয়েছি। কোথাও কোনও চাপ নেই। পাহাড়ে আগামীকাল ভোট হলেও আমরাই জিতব।’’ জিটিএ-এর কাজে রাজ্য নাক গলাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলছে মোর্চা। এ দিন গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘রাজ্য আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করলে আমরা কেন্দ্রকে রাজ্যের কাজে হস্তক্ষেপ করতে আর্জি জানাব। আমাদের প্রতিনিধিরা দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।’’

এ দিনের বৈঠকে বিদর্ভের প্রসঙ্গ আনেন গুরুঙ্গও। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিদর্ভকে নতুন রাজ্য করা হলে পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আগুন জ্বলবে। তবে আমরা এনডিএর শরিক। কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চই আমাদের সাহায্য করবেন।’’ দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ তথা সংসদ এবং কৃষি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুরিন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া গুরুঙ্গের মন্তব্য নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘নিজের ভাবমূর্তি বাঁচাতে অনেক সময়েই নেতাদের কড়া বিবৃতি দিতে হয়। তা নিয়ে মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই।’’

Bimal Gurung Delhu GTA Gorkhaland
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy