দার্জিলিঙের সভায় বিমল গুরুঙ্গ। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের গড়ে দেওয়া বোর্ডগুলিতে কত অর্থ বরাদ্দ হয়েছে এবং কোন খাতে খরচ হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ অডিট করার দাবি তুললেন জিটিএ-এর চিফ তথা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুঙ্গ। একই দিনে তৃণমূলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে পাহাড়ে গঠন হওয়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বোর্ডের সাফল্য তুলে ধরে পুরসভা ভোটের প্রচার চালানো হবে।
এ দিন বুধবার দার্জিলিঙে গোর্খাল্যান্ড পার্সোনেল গঠনের নবম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন গুরুঙ্গ। অনুষ্ঠানের শেষে জিটিএ-এর চিফ রাজ্যকে একপ্রস্ত আক্রমণ করেন। বিভিন্ন বোর্ডের হিসেবের অডিট করানোর সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন এর আগে যতবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতিতে সরকারি মঞ্চে তিনি গিয়েছিলেন প্রতিবারই অসম্মানিত হতে হয়েছিল। সে কারণেই গত সোমবার নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেননি বলেও দাবি করেছেন। এ দিকে, এ দিনই তৃণমূলের পাহাড় কমিটির নেতারা সুকনা বনবাংলোয় গিয়ে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করেছেন। দলের তরফে অরূপবাবু পাহাড়ের দায়িত্বে। পাহাড়ের পুরসভা ভোটে দলের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সুকনা বনবাংলোয়। রাজ্য সরকারের ঘোষণা করা বোর্ডের উন্নয়নের কাজকর্ম নিয়েও দলকে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গত রবিবার কার্শিয়াঙে সরকারি সভা থেকে পাহাড়ে নতুন তিনটি বোর্ড ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুঙ্গ, খাস এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বোর্ড গঠনের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন গুরুঙ্গরা। গত মঙ্গলবার গুরুঙ্গ দাবি করেছিলেন জিটিএ-এর কাজে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। বোর্ড গঠন সহ নানা বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে। বিচারাধীন বিষয়ে নতুন বোর্ড কী ভাবে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেন তা নিয়ে গুরুঙ্গ প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ দিন গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে তো নালিশ জানানো হচ্ছেই সেই সঙ্গে আমাদের দাবি বোর্ডগুলি কত টাকা পেয়েছে আর কত খরচ করেছে তা জানতে অডিট হোক। তাহলেই সব অনিময় প্রকাশ্যে আসতে পারে।’’
মোর্চার বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে বোর্ডগুলিকে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূলও। এ দিন মন্ত্রী অরূপবাবুর সঙ্গে দেখা করে বের হওয়ার সময়ে তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সভাপতি রাজেন মুখিয়া বলেন, ‘‘বোর্ডের মাধ্যমে একাধিক উন্নয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়নের সুফল পেয়েছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। সেই কর্মকাণ্ড প্রচার করে পুরসভা ভোটে বাসিন্দাদের জন সমর্থন চাওয়া হবে।’’ পাহাড়ের চারটি পুরসভাই নিজেদের দখলে আনতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে অরূপবাবু দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। পাহাড় তৃণমূলের মুখপাত্ক বিন্নি শর্মার কথায়, ‘‘সাংগঠনিক সব দিক নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বাকিটা সময় বলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy