Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পুজোয় বিরিয়ানি নিয়ে লড়াই শুরু কোচবিহারে

কোথাও লাইন দিয়ে বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে, তো কোথাও আগাম বরাতের দায়িত্ব পালনে হিমশিম অবস্থা দোকানের কর্মীদের।কিন্তু পুজো এখনও সপ্তাহ তিনেক বাকি!

বিরিয়ানির দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন। — নিজস্ব চিত্র

বিরিয়ানির দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩৯
Share: Save:

কোথাও লাইন দিয়ে বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে, তো কোথাও আগাম বরাতের দায়িত্ব পালনে হিমশিম অবস্থা দোকানের কর্মীদের।

কিন্তু পুজো এখনও সপ্তাহ তিনেক বাকি!

তাতে কী! ইতিমধ্যেই উৎসবে মেতে গিয়েছেন কোচবিহারের বাসিন্দারা। জামা কাপড়ের বাজারের লড়াই তুঙ্গে উঠেছে। মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরিতেও কে কাকে কতটা টপকে যেতে পারেন, সে লড়াই শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছে বিরিয়ানি বাজারেরও।

সেই সঙ্গে কে কত রকমের নতুন পদ হাজির করতে পারে, সে নিয়েও শুরু হয়েছে যুদ্ধ। দিন পনেরো আগে রাজ রাজেন্দ্র নারায়ণ রোডে একটি বিরিয়ানি হাউস খোলা হয়েছে। সেখানে সন্ধের পরে মানুষ লাইন দিয়ে বিরিয়ানি কিনছেন। সেখানে তুলনায় কম টাকায় চিকেন বিরিয়ানি এবং মটন বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছে। যা বাজারের তুলনায় দামে অনেক কম। দোকানির দায়িত্বে থাকা এক কর্মী জানান, ভাল বিরিয়ানি দিচ্ছেন বলেই তাঁরা ভাল সাড়া পাচ্ছেন।

ভবানীগঞ্জ বাজারের কাছে এল দাস মোড়ে গত শুক্রবার বিরিয়ানির নতুন দোকান বসেছে। সেখানে দাম অবশ্য একটু বেশি। দোকানের মালিক ইজাজ আহমেদ জানান, দিন কয়েক পরেই পুজো। এই সময় মানুষ উৎসবের মেজাজে আছেন। সে দিকে খেয়াল রেখেই তাঁরা দোকান চালু করেছেন। বিরিয়ানির পাশাপাশি তাঁরা ভেটকি, চিংড়ি-সহ নানা মাছের আইটেমও বাসিন্দাদের উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি বলেন, “দিন কয়েকের মধ্যে ভাল সাড়া পাচ্ছি। মানুষ ভিড় করছে। মানুষকে ভাল জিনিস দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

ব্যবসায়ীদের কাছে জানা গিয়েছে, পুজোর আগে থেকেই কোচবিহারে ভিড় জমতে শুরু করে। শহর, শহরতলি এমনকি গ্রাম থেকেও মানুষ কেনাকাটা করতে চলে যান। নিম্ন অসমের একটি বড় এলাকা থেকেও মানুষ কোচবিহারে আসেন। সেই সময় তাঁরা কেনাকাটা সেরে রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়াদাওয়া সারেন। স্বাভাবিক ভাবেই সেই গ্রাহকদের নিজেদের দিকে আকর্ষণ করতে চেষ্টার খামতি রাখেন না কেউই।

বহু বছর ধরেই শহরে রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন রাজু ঘোষ। সুনীতি রোড বাই লেন ভবানীগঞ্জ বাজারে যাওয়ার রাস্তায় হোটেলের সঙ্গে তাঁর রেস্তোরাঁ। প্রতি বছর তাঁরা বাসিন্দাদের নানা স্বাদের খাবার উপহার দেন। এ বারেও লোভনীয় খাবার রাখছেন তাঁরা। রাজুবাবু জানান, মটন ও চিকেন দু’রকমের বিরিয়ানিই থাকছে।

তবে এ বার তাঁদের বিশেষ ডিশ রয়েছে বাঙালি খাবারের। সেখানে ইলিশ থেকে পাবদা, ভেটকি-সহ নানা ধরণের মাছ থাকবে। থাকবে পাঁঠার মাংস। সেই সঙ্গে পাতে পড়বে সুক্তো থেকে শুরু করে নানা পদ। তিনি বলেন, “আমরা চাইনিজ, ইটালিয়ান ডিশ রাখি। এ বারে বাঙালি খাবারের বিশেষ পদ রাখব। পুজোর দিনগুলিতে সেটাই আমাদের আকর্ষণ। বাঙালিরা যা খেতে ভালবাসেন, সেটা তাঁদের মুখে তুলে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Biryani
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE