তখন ঠিকানা পিলখানা। মাহুত জগনু ওঁরাওয়ের সঙ্গে ফুলমতি। নিজস্ব চিত্র।
ফের লোকালয়ে ঢুকে পড়ল বাইসন।
রবিবার চিলাপাতার জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে দুই জেলার সীমানা দাপিয়ে বেড়াল দু’টি বাইসন। রবিবার ভোরে চিলাপাতার জঙ্গল থেকে বাইসন দু’টি ঢুকে পড়ে তপসিখাতা গ্রামের বসটারি এলাকায়। পরে একটি বাইসন কোচবিহার জেলার শিবপুর এলাকায় ঢুকে পড়ে। বাইসনের হানায় তপসিখাতার মালতী আচার্য ও কোচবিহারের শিবপুরের নিন্দবালা রায় জখম হন। তাঁদের আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ দিন ভোর ছ’টা নাগাদা বাইসন দু’টিকে দেখা যায় তপসিখাতা এলাকায়। বাইসনের খবর ছড়িয়ে পড়তে আশেপাশের গ্রাম থেকে ভিড় জমায় বহু মানুষ। খবর পেয়ে ছুটে আসে বন্যপ্রাণ ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা। জনসাধারণকে নিয়ন্ত্রণ করতে আলিপুরদুয়ার থানার আইসি আধাসামরিক বাহিনী নিয়ে আসেন।
চিলাপাতার রেঞ্জ অফিসার পুলকেশ গোস্বামী বলেন, “সকাল ১১টা নাগাদ পুরুষ বাইসনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করা হয় তপসিখাতা এলাকায়। স্ত্রী বাইসনটি সেই সময় দৌড়ে কোচবিহার জেলার শিবপুর এলাকায় ঢুকে পড়ে। বেলা আড়াইটে নাগাদ স্ত্রী বাইসনটিকে কাবু করা হয়। পরে দু’টি বাইসনকে চিলাপাতা জঙ্গলে ছাড়া হয়।” এর আগেও লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল বাইসন। একটি চিতাবাঘও কিছু দিন আগে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
তপসিখাতার বাসিন্দা সোনা রায় জানান, এ দিন সকালে বাইসন দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। বাইসনগুলো কখনও খেতের মধ্যে কখনও গৃহস্থের উঠোনে চলে আসে। সকাল আটটা নাগাদ বাড়ির উঠোন ঝাঁট দিচ্ছিলেন মালতীদেবী। আচমকা বাড়ির উঠোনে ঢুকে বাইসনটি তাঁকে গুঁতো মারে। কোচবিহারের বাসিন্দা বাপ্পা রায় বলেন, “বেলা ১১টা নাগাদ একটি বাইসন ঘরঘরিয়া বাজার পার করে শিবপুর এলাকায় ঢোকে । তারপর থেকে বেলা আড়াইটে পর্যন্ত কখনও বাঁশ ঝাড় কখন ভুট্টা খেতে ঘুরে বেড়ায়। পরে সুশীল সিংহের বাড়ির উঠোনে ঢোকে। সেখান থেকে অন্য একটি বাড়িতে গেলে বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়লে বাইসনটি সুকুমার মল্লিকদের বাড়ির লাউগাছের মাচায় আটকে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy