Advertisement
E-Paper

জেলা সভাপতি পাল্টাবে বিজেপি

দলের এক সাধারণ সম্পাদককে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে খবর। তবে বর্তমান জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীর এটি প্রথম কার্যকাল। সেক্ষেত্রে দলের সাংগঠনিক নিয়মে দেবাশিসবাবুর দ্বিতীয়বার সভাপতি হওয়ায় কোনও বাধা নেই।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩২
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সংগঠন গোছাতে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় সভাপতির মুখ বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি এমনটাই। গত সপ্তাহের শেষে সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে কলকাতায় একপ্রস্ত আলোচনাও হয়েছে। তাতেই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে বলে দাবি। জেলাগুলির তালিকাতে জলপাইগুড়িও রয়েছে বলে দাবি।

দলের এক সাধারণ সম্পাদককে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে খবর। তবে বর্তমান জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীর এটি প্রথম কার্যকাল। সেক্ষেত্রে দলের সাংগঠনিক নিয়মে দেবাশিসবাবুর দ্বিতীয়বার সভাপতি হওয়ায় কোনও বাধা নেই। শেষ পর্যন্ত তাঁকেও ফের সভাপতির দায়িত্বে রেখে দেওয়া হতে পারে বলে দলের একাংশের দাবি। তবে দলের অন্য অংশের দাবি, জেলায় লোকসভায় ‘আশাতীত’ সাফল্যে বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠন বিস্তারে আরও সক্রিয়তা চাইছে সঙ্ঘ। সঙ্ঘের বক্তব্য, নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব দিলে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্যম বেশি হবে।

কে হতে পারেন জেলা সভাপতি?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আপাতত জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির অন্দরে ঝড় চলছে। নানা জল্পনাও শোনা যাচ্ছে। যদিও রাজ্য নেতৃত্বের একটি সূত্রে দলের সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামী পরবর্তী সভাপতি হতে চলেছেন। তবে আরেক সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ রায় এবং সুখদেব সরকারের নাম নিয়েও সঙ্ঘের নেতারা আলোচনা করছেন বলে খবর। এরা তিন জনেই সঙ্ঘের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে দাবি। তাঁদের মধ্যে এক নেতা বিজেপি এবং সঙ্ঘের সেতুবন্ধনের কাজ করেন। তার দিকেই পাল্লা ভারি বলে দাবি। অন্য দিকে, দলের একাংশ বর্তমান যুব সভাপতি শ্যাম প্রসাদের নাম প্রস্তাব করেছে জেলা সভাপতি পদের জন্য। শোনা যাচ্ছে মানস ভট্টাচার্যের নামও। শেষে অবশ্য রাজ্য নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা হবে।

বর্তমান জেলা সভাপতি দেবাশিসবাবু বলেন, “মনে রাখতে হবে, আমাদের দলে কোনও পদ থেকে কাউকে সরিয়ে দেওয়া হয় না। শুধু দায়িত্বের পরিবর্তন হতে পারে। হতে পারে দল আমাকে সভাপতির পরিবর্তে অন্য কোনও দায়িত্ব দেবে। তবে কী হবে, সেটি দলই ঠিক করবে।”

বিজেপি সূত্রের দাবি, সঙ্ঘ চাইছে স্বচ্ছ মুখ আনা হোক। গত লোকসভা ভোটে জেলায় টাকার খরচ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সঙ্ঘের। জেলা নেতারা যথাযথ হিসেব দিতে না পারায় বরাদ্দ টাকার অনেকটাই রাজ্য নেতৃত্ব আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, জেলার হিসেবে আপত্তি জানিয়েছিলেন খোদ বিজেপির জাতীয় যুগ্ম সম্পাদক (সাংগঠনিক) শিবপ্রকাশ। সঙ্ঘের আপত্তিতে সেই বরাদ্দ এখনও পায়নি জলপাইগুড়ি জেলা। হিসেব নিয়ে কেন এমন হবে, সে প্রশ্ন তুলেছিল সঙ্ঘ।

Jalpaiguri BJP District President
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy