কৃষ্ণ কল্যাণী। —নিজস্ব চিত্র।
শনিবার চমক দিয়েই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। এই আবহে রবিবার ফের নয়া জল্পনা উস্কে দিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা তিনি দলকে বলেছেন। এ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন বলে দাবি কৃষ্ণের। সেই সময়সীমা পার হলে তিনি নতুন করে চিন্তাভাবনা করবেন বলেও জানিয়েছেন কৃষ্ণ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বাবুলের দলবদলকে সমর্থন জানিয়েছেন ভোটের আগে জো়ড়াফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কৃষ্ণ।
উত্তর দিনাজপুরে ভোটের দিন পনেরো আগে জেলা সভাপতি বদল করেছিল বিজেপি। বিজেপি উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি করে বাসুদেব সরকারকে। তা নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি কৃষ্ণের। একাধিক বার তিনি তোপ দেগেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও। এই আবহে রবিবার কৃষ্ণ বলেন, ‘‘আমার ক্ষোভ বিক্ষোভের কথা দলকে জানিয়েছি। দল সময় চেয়েছে। আমিও সময় দিয়েছি। সেই সময়সীমা পেরোলে আমি নতুন করে চিন্তাভাবনা করব।’’ কিছু দিন আগেই কৃষ্ণ ঘোষণা করেছিলেন, তিনি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেবেন না। সেই সিদ্ধান্তে এখনও অনড় তিনি। তাঁর সাফ কথা, ‘‘দল সিদ্ধান্ত নেবে তারা আমার কথা শুনবে না রায়গ়ঞ্জে সংগঠনের দিকে থাকবে।’’ সময়সীমা কবে শেষ হচ্ছে? সেই প্রসঙ্গে ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখে কৃষ্ণ বলেছেন, ‘‘সময়সীমার শেষ দিন সময়ই বলবে। একটু অপেক্ষা করুন।’’
বাবুলের দলবদল নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই আক্রমণের সুরে বিজেপি নেতৃত্বের গলায়। কিন্তু সেই ভিড়ে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম কৃষ্ণ। বাবুলের পাশে দাঁড়িয়ে সহানুভূতির সুরে তিনি বলছেন, ‘‘এমনি এমনি তো কেউ দল বদলায় না। হয়তো উনি অসম্মানিত হয়েছেন। দল তাঁকে হয়তো গুরুত্ব দেয়নি। সেই সব পরিস্থিতি বিচার করেই হয়তো উনি দল বদলেছেন।’’ কৃষ্ণের সুর শুনে উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি সভাপতির কৌশলী মন্তব্য, ‘‘বাবুল সুপ্রিয় কেনও দল ছাড়লেন সেটা আমাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব বলবেন। তবে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী যাই বলুন না কেন সে বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy