আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে থেকে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিতে শুরু করল বালুরঘাট পুরসভা। নাটকের শহরের আবেগ উস্কে যেমন বালুরঘাটে ‘প্রথম মুক্তমঞ্চ’ তৈরির টেন্ডার হয়েছে, আত্রেয়ী সদর ঘাটেও অভিনব ‘নজরমিনার’ তৈরির পরিকল্পনা প্রশাসনিক দফতরে জমা পড়েছে। যদিও, এ সবের পিছনে অবশ্য ভোটের প্রস্তুতিই উকি মারছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা।
এত দিন শহরের মধ্যে কোনও মুক্তমঞ্চ ছিল না। তা ছিল পঞ্চায়েত এলাকায়, শহরের বাইরে অবস্থিত নাট্য উৎকর্ষকেন্দ্রের ভিতরে। সকলে তা সচরাচর ব্যবহার করতে পারতেন না। বালুরঘাট শহরে সুরেশরঞ্জন পার্কের পাশে ওই প্রথম মুক্তমঞ্চ করার টেন্ডার হয়েছে বলে জানান পুর আধিকারিকেরা। বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর সদরঘাটে জেলার প্রথম নজরমিনার তৈরির পরিকল্পনাও নিয়েছে পুরসভা। হবে গ্যালারি শেড। ঠিক ওই ঘাটেই গঙ্গা আরতির ধাঁচে বছর দু'য়েক থেকে আত্রেয়ী পুজো শুরু করেন সুকান্ত। পুর পরিকল্পনায় কি কেবল উন্নয়ন, নাকি মোকাবিলাও? পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের দাবি, কল্যাণী ঘাটে বিসর্জন দেওয়ার হাইড্রোলিক ট্রলি পুরসভাই বসিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভোট দেখে বা কাউকে দেখে উন্নয়ন করছি না। শহরের মানুষের যা দরকার, সেটা প্রথম থেকেই করা হচ্ছে।" তাঁর দাবি, এ কে গোপালন কলোনিতে খাড়ির বাঁধ তৈরি হচ্ছে। আত্রেয়ীর লো-ড্যামে সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে পুরসভা। তার আগে করা হয়েছে ডাম্পিং গ্রাউন্ড উন্নয়ন।
গত বিধানসভা ভোটে বালুরঘাট বিজেপি দখলে রাখে। শেষ লোকসভা ভোটেও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে অন্য বিধানসভাগুলির ক্ষতি কেবল বালুরঘাট বিধানসভা দিয়েই পুষিয়েছে বিজেপি। জেলা তৃণমূল সূত্রের দাবি, শহুরে ভোটারকে 'রেলের সম্মোহন' দিয়েছে বিজেপি। বালুরঘাট স্টেশনটি ঢেলে সাজা হচ্ছে। তাতে বালুরঘাট পুরসভার উপরেও চাপ কিছু কম নেই। বালুরঘাট বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী বলেন, ‘‘যত উন্নয়ন, তৃণমূলের সব ভোটের আগে মনে পড়ে। তবে, তাও যদি বাস্তবায়িত হয়, আমি সমর্থন এবং সাহায্য করব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)