Advertisement
E-Paper

ভিড়ে অসুস্থ, মঞ্চে গেলেন না সাংসদ

শনিবার স্টেশন চত্বরে মঞ্চ বেঁধে সকাল থেকেই জয়ন্তবাবুর অপেক্ষায় ছিলেন বিজেপি নেতা-সমর্থকেরা। এ দিনই দিল্লি থেকে জলপাইগুড়ি ফেরেন জয়ন্ত। স্টেশন এলাকায় দুপুর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৯ ০১:২৫
স্বাগত: এনজেপি স্টেশনে বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। নিজস্ব চিত্র

স্বাগত: এনজেপি স্টেশনে বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। নিজস্ব চিত্র

সাংসদকে ঘিরে উত্তেজনা এবং সমর্থকদের ঠেলাঠেলিতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। ফলে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় এ দিন দলবদলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঞ্চে না উঠেই ফিরে গেলেন। শনিবার এনজেপি স্টেশন চত্বরে ওই হট্টোগোলের জেরে তিনবার হোঁচট খেয়ে পড়েও যান সাংসদ। যদিও তাঁকে ছাড়াই এ দিন এনেজপির আইএনটিটিইউসি এবং সিটু সমর্থিত বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে প্রায় দেড় হাজার কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন বলে দাবি করা হয়েছে।

শনিবার স্টেশন চত্বরে মঞ্চ বেঁধে সকাল থেকেই জয়ন্তবাবুর অপেক্ষায় ছিলেন বিজেপি নেতা-সমর্থকেরা। এ দিনই দিল্লি থেকে জলপাইগুড়ি ফেরেন জয়ন্ত। স্টেশন এলাকায় দুপুর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। ট্রেন থেকে নামার পরই সাংসদকে ঘিরে স্লোগান এবং ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায়। প্ল্যাটফর্ম থেকে কোনওরকমে তিনি স্টেশন চত্বরের বাইরে এসেই হাঁফিয়ে পড়েন। প্রচণ্ড গরমে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনায় তিনবার হোঁচট খেয়ে পড়েন তিনি। তারপর আর মঞ্চের দিকে না গিয়ে, সোজা গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়েন সাংসদ। ফলে তাঁকে ছাড়াই দলবদলনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাংসদের ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন রায় বলেন, ‘‘ঠেলাঠেলিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে চলে যান জয়ন্তবাবু। এনজেপিতে তাঁকে পরে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।’’ এ দিনই যোগদানের জন্য অপেক্ষায় থাকা অনেকেই সাংসদ না আসায় মুষড়ে পড়েন। প্রকাশ্যেই ক্ষোভপ্রকাশ করতে শুরু করেন তাঁরা। পরে অবশ্য বিজেপিক নেতারা তাঁদের সকলকে বুঝিয়ে তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন।

এ দিন রেলের পরিচ্ছন্নতার কাজে যুক্ত ঠিকাদার শ্রমিকরা শম্ভু যাদবের সঙ্গে যোগ দেন। শম্ভু বলেন, ‘‘তৃণমূলের দাপটে টেকা দায় হচ্ছিল। তৃণমূল না করলে আমাদের মাইনে আটকে দেওয়া হচ্ছিল। তাই পরিত্রাণ পেতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।’’ প্রায় দেড়শো সাফাইকর্মী রয়েছেন এনজেপিতে। এ দিন সিটু নেতা ধর্মরাজ রায়ের সঙ্গেও স্টল মালিকদের একটি বড় অংশ বিজেপিতে আসে। বিজেপিতে আসেন হকার সংগঠনের নেতা বিমল সরকারের হাত ধরে প্রায় ৫০ জন। অটো, টোটো ইউনিয়নের বেশ কিছু কর্মী এ দিনই বিজেপিতে যোগ দেন। আইএনটিটিইউসি নেতা দেবাশিস মৈত্রও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তাঁদের অনেকেই অবশ্য সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাননি।

আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘যাঁরা যোগ দিয়েছেন, বেশিরভাগই বামপন্থী সংগঠনের। আইএনটিটিইউসির যাঁরা গিয়েছে, তাঁরা কিছুদিনের মধ্যেই আবার তৃণমূলের সংগঠনে ফিরবে।’’ এ দিন দলবদল ঠেকাতে অরূপরতন ছাড়াও সংগঠনের এনজেপির সভাপতি প্রসেনজিৎ রায় এবং এলাকার কাউন্সিলর চন্দ্রাণী মণ্ডল ছিলেন এনজেপির টোটো ইউনিয়নের অফিসে। উল্টো দিকের গলিতেই বিজেপির মঞ্চ ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের তরফে কমব্যাট ফোর্স-সহ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

BJP MP Siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy