তৃণমূল সন্ত্রাস করে রায়গঞ্জ পুরসভার ক্ষমতা দখল করেছে। এই অভিযোগ তুলে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে টানা আন্দোলনে নামল বিজেপি। বিজেপির আশঙ্কা, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসকদল একই কায়দায় জেলা জুড়ে সন্ত্রাস করতে পারে। ফলে জেলার নয়টি ব্লকের প্রতিটি বুথে সেই সন্ত্রাস রুখে দিতে দলকে শক্তিশালী করার জন্য একাধিক কর্মসূচিও ঘোষণা করল বিজেপি।
রবিবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলা পরিষদ ভবনে বিজেপির জেলা কমিটির একটি বর্ধিত সভা হয়। বৈঠকের পর বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের দাবি, তৃণমূল রায়গঞ্জে গুলি ও বোমা ছুড়ে বিরোধীদের পিটিয়ে পুরসভা দখল করেছে। অথচ কংগ্রেস ও সিপিএম রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার বদলে বাড়িতে বসে ফেসবুকে বিপ্লব শুরু করেছে। বিজেপি এই সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষকে একজোট করতে এ দিন থেকে জেলার নয়টি ব্লকে পথসভা, পদযাত্রা ও বাড়ি বাড়ি জনসংযোগের কাজ শুরু করল। পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। পাশাপাশি, আগামী ৭ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দলের ৫০০ জন নেতা ও কর্মী জেলার নয়টি ব্লকের ১৯৫০টি বুথ এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের বিষয়ে প্রচার চালিয়ে বুথস্তর পর্যন্ত দলকে শক্তিশালী করার কাজ করবেন। নির্মলের বক্তব্য, তৃণমূল রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনের মতো একই কায়দায় সন্ত্রাস করে জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসন দখল করতে পারে। সেই সন্ত্রাস রুখে দিতেই প্রতিটি বুথে দলকে শক্তিশালী করার জন্য এখন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনে ২৭টি আসনের মধ্যে ২৪টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল! কংগ্রেস দুটি ও বিজেপি একটি আসন দখল করেছে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, জেলায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। তাই মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে! বিজেপি গুলি ও বোমা ছুড়ে একটি ওয়ার্ড দখল করেছে। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, ‘‘কে কী বলছেন তা নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy