কৃপা কুজুর। নিজস্ব চিত্র
কেউ পুরোপুরি দৃষ্টিহীন, কেউ ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন। আবার কারও হাতে সমস্যা রয়েছে। লিখতে পারেন না। এ দিন তাই ‘রাইটার’ নিয়েই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল ওরা। শিলিগুড়ি শহরের রামকৃষ্ণ সারদামণি বিদ্যাপীঠের ছাত্রী কৃপা কুজুর বা নীলনলিনী বিদ্যামন্দিরের ছাত্র যশবন্ত কেরকেট্টা, নিত্যানন্দ বিশ্বাস। তাদের পরীক্ষার সিট পড়েছিল শিলিগুড়ির মহানন্দা বিদ্যাপীঠে। শালুগাড়ার প্রেরণা কেন্দ্রে থাকে তারা। সোমবার সেখান থেকে অটোতে করে তিনজনই পরীক্ষা দিতে আসেন।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃপার বাড়ি শালুগাড়াতে। দু’চোখেই দেখতে পায় না ওই ছাত্রী। স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী সংযুক্তা রাই়টার হিসাবে তাকে উত্তর লিখতে সাহায্য করেছে। বাগডোগরার বাসিন্দা যশবন্ত এবং নিত্যানন্দ ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন। ওরাও রাইটার নিয়েই পরীক্ষা দিয়েছে। এ দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছিলেন যশবন্তের বাবা জেমস কেরকেট্টা। পেশায় তিনি চা শ্রমিক। জানান, ছোট থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহ যশবন্তের। তাই কষ্ট করে হলেও পড়াশোনা চালাচ্ছেন।
শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগর সন্তোষিনী বিদ্যচক্রের চারজন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী রয়েছে। তাঁরা এ দিন মুরলিগঞ্জ হাইস্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ভগবৎ প্রামাণিক দৃষ্টিহীন। কৃষক পরিবারের ছেলে ভগবৎ। স্কুল সূত্রেই জানা গিয়েছে, বাকি তিনজন জসমিতা টোপ্পো, সঞ্চিতা ওঁরাও এবং লক্ষ্মী দাস ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন। তার বাবা ফুলের চারা গাছ বিক্রি করে সংসার চালান। সঞ্চিতার বাবা রাজমিস্ত্রির সঙ্গে শ্রমিকের কাজ করেন। জসমিনের বাবা চা শ্রমিক।
মাটিগাড়ার নরসিংহ বিদ্যাপীঠের তিন জন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর মধ্যে লাবণি সিংহ জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিগাড়া গার্লসে এ দিন লাবণি পরীক্ষা দেয়। অন্যরাও ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে। বাকি দু’জনের মধ্যে সৃজনী রায় ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন। প্রীতম কুণ্ডু শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাকেও রাইটার নিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy