গরমের সময় হাসপাতাল রক্তের সঙ্কট বরাবরই থাকে। এ বার তা মেটাতে এ বারে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ফের বিডিও অফিস এবং থানায় শিবির করে রক্ত সংগ্রহে নামছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।
আর ওই উদ্যোগ শুরু করতে গিয়েই রক্তদাতা খুঁজতে হিমশিম অবস্থা জেলা প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে স্বাস্থ্য দফতরকে নিয়ে বৈঠকের পর জেলাশাসক সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘২০ মে থেকে ৭ জুন পুলিশ স্টেশন এবং বিডিও অফিস গুলিতে রক্তদান শিবির করা হবে।’’
জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস বলেন, গত দু’মাস থেকে সংগ্রহের ফলে আপাতত বালুরঘাট হাসপাতাল এবং গঙ্গারামপুর হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট তেমন নেই। তবে নতুন করে রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে সংগৃহীত রক্ত বাইরের জেলায় পাঠানোর বন্দোবস্ত হয়েছে। সরকারি শিবির থেকে সংগৃহীত রক্ত মালদহের মেডিক্যালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে অশোকবাবু জানান।
এ বারে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় দক্ষিণ দিনাজপুরে রক্তের চরম সঙ্কট দেখা দেয়। বালুরঘাট হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক রক্তশূন্য হয়ে পড়ায় জেলাশাসকের উদ্যোগে গত ২৭ মার্চ থেকে ৮ মে পর্যন্ত শিবির করে সরকারি কর্মী এবং পুলিশকর্মীদের কাছে ৩৩৬ বোতল রক্ত সংগ্রহ হয়। ফের ৮টি ব্লকে দ্বিতীয় দফায় রক্তদান কর্মসূচিকে সফল করতে চ্যালেঞ্জের মুখে প্রশাসন।
নতুন করে স্বেচ্ছায় রক্তদানে আগ্রহী সরকারি কর্মীদের সামিল করতে এ বারে গ্রামপঞ্চায়েতের অফিসকর্মীদেরও সামিল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত দু’মাসে জেলার অধিকাংশ বিডিও অফিসের পাশাপাশি জেলাপরিষদের অফিসকর্মী, বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুর মহকুমা ও জেলা কলেক্টরেটে আয়োজিত শিবিরে মোট ৩৩৯ জন স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে প্রশাসনের তরফে নতুন করে ওই সরকারি দফতরগুলিতে শিবির করে রক্ত সংগ্রহে ঝাঁপাতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। গরমের কারণে রক্তদান শিবির গুলি হবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy