Advertisement
E-Paper

হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যু ঘিরে রহস্য! চাঞ্চল্য কোচবিহারের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে

বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা-দুটো নাগাদ অন্বেষাকে ঝুলন্ত অবস্থায় নিজের ঘরে দেখতে পান সহপাঠীরা। তার পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ১২:০৭
Body of student recovered from hostel room of Government Engineering College in Cooch Behar

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। আত্মহত্যা না কি ওই ছাত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হস্টেলে নিজের ঘরেই ছিলেন ওই ছাত্রী। অনেক ক্ষণ তাঁর সাড়াশব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ হয় অন্য আবাসিকদের। তাঁরা ওই ছাত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় হস্টেল এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে। তাঁরাই পুলিশকে বিষয়টি জানান। মৃত ছাত্রীর নাম অন্বেষা ঘোষ। তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। হোস্টেল সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্বেষা দুর্গাপুরের বাসিন্দা।

অন্বেষাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক নার্সিংহোমে। তবে সেখান থেকে তাঁকে এমজেএম মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে বাঁচানো যায়নি ওই পড়ুয়াকে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা-দুটো নাগাদ অন্বেষাকে ঝুলন্ত অবস্থায় নিজের ঘরে দেখতে পান সহপাঠীরা। তার পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে তদন্তকারীদের। কোচবিহারের এসসিপি কৃষ্ণ গোপাল মীনা জানান, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। তার পরেই এই ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য দেওয়া হবে পুলিশের তরফে।

ওই হস্টেলের ওয়ার্ডেন সবিতা মোদক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে অন্য এক বন্ধুর ঘরে থাকার কথা ছিল অন্বেষার। কিন্তু রাত দেড়টা বেজে যাওয়ার পরেও তিনি না যাওয়ায় সন্দেহ হয় ওই বন্ধুর। বার বার ফোন করলেও ফোন তোলেননি অন্বেষা। তখন তাঁর ঘরে ডাকতে গিয়ে দেখা যায়, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তখন খবর দেওয়া হয় সবিতাকে। তিনি গিয়ে ডাকাডাকি করে কোনও লাভ হয়নি। দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে অন্বেষাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বন্ধুরা মিলেই তাঁকে প্রথমে নার্সিংহোমে এবং পরে এমজেএম মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যান।

Cooch Behar Suicide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy