স্ত্রীকে বাড়িতে রেখেই শিবমন্দির দর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্বামী। সেই ক্ষোভে স্ত্রী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার শিলিগুড়ির ঘোঘোমালি বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রূপা দাস (২৬)। স্ত্রীকে আগুনে জ্বলতে দেখে তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও গুরুতর জখম হয়েছেন স্বামী বাবলুবাবু। তাঁকে সেবক রোডের একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করানো হয়েছে। এমনকী তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর ভাই স্বরূপবাবুও জখম হয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর জখম গুরুতর না হলেও বাবলুবাবুর শারীরিক অবস্থা এখও স্থিতিশীল নয় বলে নার্সিংহোম সূত্রে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি পূর্ব পিনাকী মজুমদার বলেন, ‘‘পারিবারিক মন কষাকষি থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা বাবলুবাবু পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। তাঁদের দুটি ছেলেও রয়েছে। এক জনের সাত ও অপর জনের দেড় বছর বয়স। ঘটনার সময় তারা পাড়াতেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন তিনি আরও কয়েকজনের সঙ্গে ডুয়ার্সের চামুর্চিতে তিনমূর্তিতে পুজো দিতে যাবেন বলে ঠিক করেন। সকালে তাঁর সঙ্গে যেতে বায়না জুড়ে দেন রূপাদেবীও। বাচ্চাদের দেখাশোনার অজুহাত দিয়ে তাঁকে সঙ্গে নিতে অস্বীকার করেন তিনি। কথা কাটাকাটির পরে বাবলুবাবু পুজোর জন্য ফুল কিনতে বাজারে যান। তিনি ফিরে দেখেন স্ত্রী গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টায় জড়িয়ে ধরেন তিনিও। তাতে তাঁরও গায়ে আগুন লেগে যায়। বাইরে ছিলেন তাঁর ভাই স্বরূপবাবুও। তিনিও দাদাকে বাঁচাতে ছুটে যান। তিনিও জখম হয়েছেন।
বাবলুবাবুই পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন। এলাকার কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, ‘‘দুঃখজনক ঘটনা। ওই দম্পতির মধ্যে কোনও বিবাদ ছিল না বলেই জানি। সামান্য ঘটনার এমন পরিণতি মেনে নেওয়া যায় না। বাচ্চাদুটির কথা ভেবে খারাপ লাগছে।’’