—প্রতীকী ছবি।
প্রথম বার উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার এক বছর পরে দ্বিতীয় বার ফের উদ্বোধন হল বুনিয়াদপুর দমকল কেন্দ্রের। কিন্তু তার পরেও প্রশাসন দমকল কেন্দ্রের ফোন নম্বর চালু করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে, কেন্দ্রটি চালু হলেও দমকলের ফোন নম্বর না থাকলে কী ভাবে বিপদকালে যোগাযোগ করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসন অবশ্য দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে। এ দিকে, একই প্রকল্পের দু’বার উদ্বোধনে ভোটের রাজনীতি দেখছে বিরোধী দল।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বুনিয়াদপুরের এই দমকল কেন্দ্রটি ২০১৫ সালের ১৩ মার্চ শিলান্যাস হয়েছিল। প্রায় তিন কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দমকল কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ গত বছরেই শেষ হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গারামপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। তার পর থেকেই নবনির্মিত এই কেন্দ্রটি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়েছিল। সোমবার দমকলকেন্দ্রের পুনরায় উদ্বোধন করা হয়। এ দিন সেখানে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সহ-সভাপতি বিপ্লব মিত্র। এলাকার বিজেপির টাউন সভাপতি সুপ্রিয় দত্ত বলেন, ‘‘সামনে ভোট, মানুষের নজর কাড়ার জন্য বার বার একই প্রকল্প উদ্বোধন হচ্ছে। অথচ, এখনও সম্পূর্ণ পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি।’’
দমকল সূত্রে খবর, দু’টি গাড়ি, দু’টি পাম্প মেশিন, ২৩ জন কর্মী, একটি রিজার্ভার নিয়ে দমকল কেন্দ্র শুরু হল। কিন্তু দমকলের নিজস্ব ফোন নম্বর না থাকায় বিপদকালে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, দমকল কেন্দ্রে ল্যান্ডলাইন সংযোগের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে দমকলের ডিভিশনাল অফিসার প্রবীর রায় বলেন, ‘‘দমকলের ল্যান্ড লাইনের জন্য আমরা যোগাযোগ করছি। আপাতত আমাদের অফিসারদের নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত নিজস্ব ল্যান্ডলাইন সংযোগও দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy