পুজোয় যান নিয়ন্ত্রণের জেরে নির্ধারিত বাসস্টপ থেকে হেঁটে প্রায় কিলোমিটার খানেক গিয়ে সরকারি বাসের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ পর একটি বাস আসলেও তাতে জায়গা হচ্ছিল না সবার। যাত্রীরা আটকে দেন ওই বাসটিকে। শুরু হয় ক্ষোভ-বিক্ষোভ। ঘণ্টা খানেক পরেও আরও বাস আসার আশ্বাস কার্যকরী না হওয়ায় শুরু হয় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ।
কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ গিয়ে যাত্রীদের বুঝিয়ে শুনিয়ে অবরোধ তোলে। আটকে পড়া বাসটিকে ঘিরে রাস্তায় ধারে বসে থাকেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীদের সরিয়ে বাসটিকে ছাড়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ির এনজেপি থানার নৌকাঘাট মোড়ের ঘটনা।
যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অন্তত দুটি এনবিএসটিসির বাস শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি যাতায়াত করে। কিন্তু এদিন নির্ধারিত সময়ে বাস মেলেনি। পরে একটি বাস আসলেও তাতে ২/৩টি বাসের যাত্রীদের একসঙ্গে নিয়ে যাওয়ার উপায় ছিল না।
পুলিশ সূত্রের খবর, এবার পুজোয় যান নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা অনুসারে বিকেলে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার রুটে দিকে যেতে সমস্ত যাত্রীদের নৌকাঘাট মোড়ে যেতে হবে। তেমনিই, কলকাতা, মালদহ, বালুরঘাট-সহ ভিনরাজ্যের বাসের জন্য মাটিগাড়ার পরিবহণ নগরে যেতে হবে। বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে শহরের বাইরের এলাকায় পৌঁছাতে বাসিন্দাদের ভোগান্তি হচ্ছে।
এনবিএসটিসি-র শিলিগুড়ির ডিভিশনাল ম্যানেজার বিকাশ দাস জানান, কোনও বাস বাতিল হয়নি। পুজোর যান নিয়ন্ত্রণের জন্য রুট ঘুরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এতে বাসগুলিকে ডিপোতে এনে ফের পাঠাতে দেরি হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘যানজট থাকায় দেরি হয়েছে। আমরা সাধ্যমত বাস পাঠানোর চেষ্টা করেছি। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলে সরকারি বাসগুলিকে আগে ছাড়ার ব্যবস্থা করতে বলেছি।’’
পুলিশের অফিসারদের বক্তব্য, যান নিয়ন্ত্রণ বা রুট পরিবর্তন পুজোয় নতুন কিছু নয়। আর সন্ধ্যার পর বাস কম থাকে তাও যাত্রীদের জানেন। সেই মত তাঁদের যাতায়াত করা উচিত। তার পরেও কিছু সমস্যা হলে তো নিশ্চয়ই দেখা হয়। রাতে অন্য রুটির দু’টি বাসে যাত্রীদের তুলে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy