Advertisement
E-Paper

ফুটপাথের পর রাস্তা দখল, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা

ফুটপাত দখলের অভিযোগ ছিলই। এবার শহরের রাস্তা দখল করে নির্মাণের অভিযোগ উঠল ব্যবসায়ীদের একাংশের বিরুদ্ধে। মালদহের ইংরেজবাজারের ঘটনা। শহর জুড়ে একই ছবি হলেও পুরসভা কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে শহরবাসীর দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০২:৩৩

ফুটপাত দখলের অভিযোগ ছিলই। এবার শহরের রাস্তা দখল করে নির্মাণের অভিযোগ উঠল ব্যবসায়ীদের একাংশের বিরুদ্ধে। মালদহের ইংরেজবাজারের ঘটনা। শহর জুড়ে একই ছবি হলেও পুরসভা কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে শহরবাসীর দাবি।

ইংরেজবাজার শহরের উপর দিয়ে যাওয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ফুটপাত দখল করে দোকান উঠেছে অনেকদিন আগেই। একই অবস্থা গৌড় রোড, মকদমপুর, মনস্কামনা রোড, স্টেশন রোড, বিএস রোড, নেতাজি সুভাষ রোডের ফুটপাতেরও। অভিযোগ, সম্প্রতি এইসব রাস্তার একাংশ দখল করেই পাকা দোকান তৈরি করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। রাস্তার উপরেই তৈরি করা হচ্ছে বারান্দা, দোকানের কার্নিশও থাকছে রাস্তার উপরে। যার ফলে সাড়ে চার মিটারের চওড়া রাস্তা কমে এসেছে তিন মিটারে। রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় যানজট বাড়ছে শহরে। নিত্যদিনের যানজটে তিতিবিরক্ত বাসিন্দারা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শাসক-বিরোধী সকলের দিকেই। তাঁদের দাবি, ভোটের আগে জবরদখল নিয়ে সরব হয় সব রাজনৈতিক দলই। কিন্তু বাস্তবে সেই সমস্যার কোনও সুরাহা হয় না। শহরবাসীর অভিযোগ, ভোটের কারণেই জবর দখল নিয়ে চুপ সমস্ত দল। শহরের এক কাউন্সলিরও জানান, ফুটপাতের উপর হাজার হাজার ব্যবসায়ী নির্ভরশীল। তাঁদের সরানো হলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ। রাস্তা দখল করে পাকা নির্মাণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও জবর দখল নিয়ে পুরসভার উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন সিপিএম কাউন্সিলর দোলন চাকি। তাঁর দাবি, দখল উচ্ছেদ নিয়ে একাধিকবার পুরসভাকে স্মারকলিপি দিলেও কোনও কাজ হয়নি। শহরে প্রায় ১২ হাজার টোটো, চার হাজার রিকশা-সহ অন্য যানবাহন রয়েছে। যানবাহন বাড়লেও জবর দখলের কারণে রাস্তা কমছে। দখল সরানো হলে শহরের যানজটের সমস্যাও কমবে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ অফিসার।

Businessmen Road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy