পাহাড় উত্তপ্ত, তাই পুজোর ছুটিতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন অরণ্যে পর্যটনকেন্দ্রগুলিই ছিল আকর্ষণের কেন্দেরে। বেশ কিছু বুকিংও হয়ে গিয়েছে। আরও হওয়ার আশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, বক্সার জঙ্গলে সরকারি ও বেসরকারি সব লজ বন্ধ করে দিতে হবে। সেই নির্দেশের খবর পাওয়ার পরে পর্যটন ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এক আধিকারিক জানান, যদি আদালতের রায় কার্যকরী করার নির্দেশ তাঁরা পান, তা হলে এই সব লজই বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই আদালতই ২২ জুলাই জয়ন্তীতে বন উন্নয়ন নিগমের একটি লজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তা এখনও বন্ধ করা হয়নি।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে তাঁরা আবেদন করবেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে চান তাঁরা। তাঁরা জানান, ইতিমধ্যেই যাঁরা বুকিং করেছেন, তাঁদের অনেকে ফোনে খোঁজখবর করছেন। এখনও কোনও বুকিং বাতিল করা হলেও যে কোনও দিন তা হতে পারে। নতুন করে বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও ভাটা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এ বার বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। তারপরে পুজোর মরসুমেও যদি লজ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তা হলে তাঁরা খুব বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। এলাকার অর্থনীতিও অনেকটা নির্ভর করছে পর্যটকদের উপর।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘কোর্টের রায় নিয়ে কিছু বলব না৷ আমরা প্রকৃতি ও উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই কাজ করতে চাই৷’’ কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ দফতরের অন্যান্য আধিকারিক ও ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান পর্যটনমন্ত্রী৷
২০১৫ সালে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল নিয়ম না মেনে গড়ে ওঠা লজ রির্সট নিয়ে আপত্তি তুলে মামলা করেন। সেই মামলাতে বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিবেশ আদালত ১৩ অক্টোবরের মধ্যে বক্সায় হোটেল-রিসর্ট বন্ধের নির্দেশ দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy