জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কে আগেই ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বন দফতর। বেপরোয়া গাড়ির গতি রুখতেই ওই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছিল। এ বার তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা পার্কেও গোপন ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতরের উদ্যান ও কানন বিভাগও। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়েই বেধেছে বিতর্ক। পার্কে ক্যামেরা বসানো কি ভ্রমণকারীদের ব্যক্তিগত পরিসরে আঘাত নয়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পার্কে এ বারে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের এমএনপার্ক, জলপাইগুড়ির তিস্তা উদ্যান, মালবাজার পার্কে প্রথম পর্যায়ে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কোচবিহারের এমএনপার্কে চারটি, জলপাইগুড়ি এবং মালবাজারের পার্কে তিনটি করে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার কথা মাথাতে রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছে উদ্যান ও কানন বিভাগ। বিভাগের উত্তর এলাকার ডিএফও কৌশিক চৌধুরীর কথায়, ‘‘পার্কের ভেতর বনকর্মীরা থাকলেও এ বারে গোপন ক্যামেরা বসে যাওয়ায় সামগ্রিক নিরাপত্তা অনেকটাই উন্নত হবে।’’ মোট ২ লক্ষ টাকা খরচ করে ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলেও বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
তবে পার্কের ভেতরে ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক বেধেছে মালবাজারে। শহরের এক শিক্ষক জানালেন, ‘‘পড়ুয়ার দল অনেক সময়েই পড়ার নামে বাড়ির থেকে বেরিয়ে বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে পার্ককে বেছে নিয়ে সেখানেই ঢুকে পড়ে। এ বারে ক্যামেরা থাকায় সেই ঘটনা অনেকটাই কমবে বলে মনে হচ্ছে।’’ কলেজ পড়ুয়া একদল তরুণ-তরুণীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘বিনোদনের জন্যই তো পার্ক। তা হলে কেন ক্যামেরা লাগিয়ে নীতি পুলিশ হতে চাইছে উদ্যান ও কানন বিভাগ?’’
তবে ক্যামেরা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে নিরাপত্তার কাজটুকুই যাতে মেটে সেটাই দেখা হচ্ছে বলে দাবি বনকর্মীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy