চালক, গার্ড বা টিকিট চেকাররা যেমন ছিলেন তেমনই থাকবেন। শুধু নতুন দায়িত্বে আসবেন একজন ক্যাপ্টেন, যিনি একটি চলন্ত ট্রেনের পুরো দায়িত্বে থাকবেন। মোদ্দা কথায় তিনিই হবেন ট্রেনটির সর্বোচ্চ পদাধিকারী। যাত্রী পরিষেবার মান ও নিরাপত্তা বাড়াতে এ রাজ্যের একটি এক্সপ্রেসে ক্যাপ্টেন নিয়োগ করতে চলেছে রেল।
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসই আপাতত ক্যাপ্টেন পাচ্ছে। দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেনেও ক্যাপ্টেন থাকবেন। আগামিকাল, শুক্রবার থেকে দুই ট্রেনের দায়িত্ব নিচ্ছেন ক্যাপ্টেন। রেলের সিদ্ধান্ত, বিভিন্ন জোনের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলিতে একজন করে ক্যাপ্টেন থাকবেন। পুরো ট্রেনটাই থাকবে তাঁর দায়িত্বে। ট্রেনের ভিতরে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে তাঁর। যাত্রীরা যে কোনও অভিযোগ তাঁকে জানাতে পারবেন। কেটারিং কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সাসপেন্ড করা বা ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে ক্যাপ্টেনের। যে কোনও সময় কামরায় সাফাইয়ের নির্দেশও ক্যাপ্টেন দিতে পারবেন। তাঁর নির্দেশ মানতে বাধ্য থাকবেন আরপিএফ-জিআরপি থেকে শুরু করে রেলকর্মী, এজেন্সির কর্মীরা। রেলের দাবি, এই পদ্ধতিতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তায় সুসংহত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এক আধিকারিকের কথায়, “শতাব্দী এবং টয় ট্রেনকে এই জোনে এই ক্যাপ্টেন প্রথা পাইলট প্রকল্প বলা যেতে পারে। ধীরে ধীরে দার্জিলিং মেল, রাজধানী সব ট্রেনেই ক্যাপ্টেন থাকবেন।”
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রের খবর, এই দুই ট্রেন নিয়েই যাত্রীদের অভিযোগের মাত্রা বেশি। বেশিরভাগ দিনই শতাব্দী এক্সপ্রেসের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। টয়ট্রেনের ক্ষেত্রে মূল অভিযোগ সমায়নুবর্তিতার। টয় ট্রেনে নিয়মিত বিদেশি পর্যটকরা থাকেন। যাত্রীদের দাবি, কোনও অভিযোগ থাকলে টয় ট্রেনে কাকে জানানো হবে তা নিয়ে সংশয় থাকে যাত্রীদের। ক্যাপ্টেনের কাছে সব অভিযোগ জানানো যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy