Advertisement
E-Paper

জল নামতেই শুরু সাপের ভয়

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত সাত দিনে সাপের ছোবলে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৩৫ জন রোগী কোচবিহারের বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত অবশ্য কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০২:১০
বানভাসি: জলের তোড়ে আশ্রয় ছেড়ে লোকালয়ে। ধূপগুড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এই ময়াল। —নিজস্ব চিত্র।

বানভাসি: জলের তোড়ে আশ্রয় ছেড়ে লোকালয়ে। ধূপগুড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এই ময়াল। —নিজস্ব চিত্র।

বন্যার পরে এ বার সাপের ছোবলের আতঙ্ক। কোচবিহারে একাধিক এলাকা প্লাবিত হওয়ার পর থেকে সাপের ছোবলের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। এক সপ্তাহে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭টি ময়াল, ১টি শঙ্খচূড়, শঙ্খিনী-সহ ১০টি সাপ।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত সাত দিনে সাপের ছোবলে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৩৫ জন রোগী কোচবিহারের বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত অবশ্য কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ভারপ্রাপ্ত সিএমওএইচ বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “সাপের কামড়ের ওষুধ মজুত রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ওষুধ দেওয়ার পাশাপাশি ওই ব্যাপারেও পরামর্শ দিচ্ছেন।”

জেলায় দিনহাটায় সাপের ছোবলে আহত রোগীর সংখ্যা বেশি। গীতালদহ ও নাজিরহাট এলাকাতেও অনেকে সাপের ছোবল খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত কয়েক দিনে দিনহাটা হাসপাতালে ১৭ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়েছেন। বেশিরভাগকেই দিনহাটা হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “যারা সাপের ছোবল নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। দু-একটি ক্ষেত্রে সাপ কামড়েছে কি না, তা না দেখেই অনেকেই হাসপাতালে চলে আসেন।” গীতালদহের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মইনুল হক বলেন, “জলে ভরে গিয়েছে সাপের আশ্রয়। তাই তারা ঘরে চলে আসছে।”

আতঙ্কিত ডুয়ার্সবাসীও। বৃহস্পতিবার রাতে ধূপগুড়ির জলঢাকা নদী সংলগ্ন ময়নাতলি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় একটি ময়াল। সেটি একটি সুপুরি গাছে উঠেছিল। গ্রামের বাসিন্দারা সাপটিকে দেখতে পেয়ে খবর দেন সর্পবিশারদ মিন্টু চৌধুরীকে। একই দিনে ধূপগুড়ির বসাকপাড়ায় একটি বাড়ি থেকে ধরা পরে একটি শাঁখামুটি ও একটি দাঁড়াশ সাপ। মিন্টুবাবু বলেন, “গোটা এলাকা জলমগ্ন হওয়ার ফলে সাপগুলি নিরাপদ জায়গার খোঁজেই উঁচু জায়গায় ঢুকে পড়ছে।’’

Flood Waterlogged কোচবিহার ধূপগুড়ি Cooch Behar Dhupguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy