২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীর কাছে সিবিআইয়ের তলব-নোটিস আসতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সংখ্যাটা জনা তেরো। তাঁদের নথি নিয়ে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে যেতে বলা হয়েছে।
একাধিক শিক্ষক সংগঠন এবং বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরের মাধ্যমে তাঁদের কাছে ‘ফরওয়ার্ড’ করা ই-মেল পৌঁছেছে এবং কিছু শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর নাম উল্লেখ করে তাঁদের কলকাতায় তলব করা হয়েছে। যদিও জেলা স্কুল পরিদর্শক নিতাইচন্দ্র দাস বলেছেন, ‘‘সরাসরি সংশ্লিষ্ট স্কুলেই নোটিস পাঠিয়ে থাকতে পারে সিবিআই।’’
জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর সূত্রে দাবি, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় সিবিআই যাঁদের ডেকে পাঠাচ্ছে, তাঁরা ‘যোগ্য’ না ‘অযোগ্য’ তা নির্ধারিত হয়নি। কুশমণ্ডির লক্ষ্মীপুরের এক শিক্ষক ও গঙ্গারামপুরের বেলবাড়ির এক শিক্ষক আছেন তলব-তালিকায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার সিবিআইয়ের এক জন আধিকারিকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৬র ‘রিজ়িয়োনাল লেভেল সিলেকশন টেস্ট্স’ (আরএলএসটি)-অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্র, যোগদানের নথি, জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে অনুমোদনের নথি, বেতনের তথ্য নিয়ে হাজির হতে হবে নিজাম প্যালেসে। সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করার কথা যেমন বলেছে, তেমনই সিবিআইকে তদন্তের কাজ এগোতেও বলেছে। শিক্ষামহলের অনেকে মনে করছেন, সিবিআইয়ের কাছে যোগ্য-অযোগ্য তালিকার ভিত্তিতেই বেছে বেছে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তলব পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের দফায় দফায় ডেকে জেরা করা হতে পারে। নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির (এবিটিএ) জেলা সম্পাদক অনিমেষ লাহিড়ী বলেন, ‘‘সিবিআই নোটিস জেলায় আসতে শুরু করেছে বলে জেনেছি। যোগ্যদের চাকরি রেখে অযোগ্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা, কেলেঙ্কারির যথাযথ তদন্ত করতে হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)