Advertisement
E-Paper

মেয়েরা কোথায়

শিশু বিক্রির অভিযোগের পরে এ বার জলপাইগুড়ির হোম থেকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া বালিকা-কিশোরীদের বর্তমান ঠিকানা নিয়েও খোঁজখবর করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০৫

শিশু বিক্রির অভিযোগের পরে এ বার জলপাইগুড়ির হোম থেকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া বালিকা-কিশোরীদের বর্তমান ঠিকানা নিয়েও খোঁজখবর করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বছর দেড়েক আগে জেলায় শিশু কল্যাণ সমিতির ‘অ্যাডহক’ কমিটি থাকার সময় ভুয়ো নথি তৈরি করে দত্তকের নামে শিশু বিক্রি হয়েছে বলে মামলা রুজু করেছে সিআইডি। সেই সময়েই অ্যাডহক কমিটি জেলার বিভিন্ন হোম থেকে বালিকা-কিশোরী সহ ৮১ জনকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ‘নির্দেশ’ দিয়েছিল। অ্যাডহক কমিটির চিহ্নিত করা ‘ব্যক্তি’দের হাতেই হোম কর্তৃপক্ষ আবাসিকদের ছেড়ে দিয়েছিল। এখন প্রশ্ন উঠেছে, যাদের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়েছিল, তারা সত্যিই ওই শিশু কিশোরীদের আত্মীয় কি না। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে আর্জি জানিয়েছে শিশু সুরক্ষা বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা।

শিশু বিক্রির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল কমিশন ফর চাইল্ড রাইটসের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন। সে সময় জলপাইগুড়ির কয়েকটি হোম থেকে শিশু কল্যাণ সমিতির নির্দেশিকা সংগ্রহ করে নিয়েছেন তাঁরা। সেগুলি পরীক্ষা করে সম্প্রতি জেলা প্রশাসনকে ই-মেল পাঠিয়ে বালিকা-কিশোরীদের খোঁজ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির বর্তমান চেয়ারম্যান বেবি উপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না। সরকারি নির্দেশ মেনেই পদক্ষেপ হচ্ছে এবং হবে।’’

কেন ওই আবাসিকদের খোঁজ চাইছি কেন্দ্রীয় সংস্থা?

অনাথ বা ভবঘুরে কোনও শিশু-কিশোরী উদ্ধার হলে প্রথমে শিশু কল্যাণ সমিতির কাছে পাঠানো হয়। সমিতি নির্দেশ দেয় কোন হোমে তাদের পাঠানো হবে। খোঁজ পেয়ে পরিবারের কেউ এলে তাঁকেও প্রথমে সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। নানা নথি দেখে নিজস্ব নিয়মে তদন্ত করে ওই ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে সমিতি হোম থেকে আবাসিককে অভিভাবকের হাতে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু অ্যাডহক কমিটির সেই নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার নেই বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। সে কারণেই অনিয়মের গন্ধ পাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

অ্যাডহক কমিটির তরফে যাবতীয় নির্দেশ দিতেন তৎকালীন জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সস্মিতা ঘোষ। তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। জলপাইগুড়ির মেয়েদের একটি হোমের কর্ণধার দীপশ্রী রায় বলেন, ‘‘সিডব্লুউসির অ্যাডহক কমিটির দেওয়া কিছু নির্দেশের প্রতিলিপি কেন্দ্রীয় সংস্থা নিয়ে গিয়েছিল। তাঁরা যা জানতে চেয়েছিলেন তা-ও জানানো হয়েছে।’’

Child Trafficking
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy