গত তিন মাসে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে পর পর ২৭টি চিঠি দিয়ে ধানের দাম বাবদ বকেয়া টাকা মেটানোর অনুরোধ করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে চালের দাম বাবদ রাজ্য সরকারকে ১৬৮১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা মেটাচ্ছে না। বুধবার রায়গঞ্জে এসে এমনই অভিযোগ তুললেন রাজ্যে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
উত্তর দিনাজপুরে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে এ দিন বিকেলে কর্ণজোড়ায় সার্কিট হাউসে জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের আধিকারিক ও সরকার অনুমোদিত জেলার চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি আলেমা নূরি-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনেকেই। বৈঠকের পরে জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেন, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছর ও ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে চাল সরবরাহের দামবাবদ রাজ্য সরকারের বকেয়া পাওনা ১৬৮১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা। সরকার ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে চাল কিনে কেন্দ্রকে সরবরাহ করে। তাই বর্তমানে কেন্দ্রের কাছে যে টাকা বকেয়া তার উপরে প্রতিদিন রাজ্যকে ৪ টাকা ৭ পয়সা করে সুদ দিতে হচ্ছে। রাজ্য সরকার গত তিনমাসে পর পর ২৭টি চিঠি দিয়ে বকেয়া টাকা মেটানোর অনুরোধ করলেও কেন্দ্র সেই বকেয়া মেটাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার মুখেই বড় বড় কথা বলে। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকার সুদ সমেত বকেয়া টাকা না মেটালে রাজ্যের পক্ষে রেশনিং ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।’’
খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বছর রাজ্য সরকার উত্তর দিনাজপুরে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক দরে ২ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৩৬ মেট্রিক টন ধান কেনা শেষ হয়েছে।
জ্যোতিপ্রিয়র জবাবে বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের কটাক্ষ, ‘‘রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনের মুখে রাজনৈতিক স্বার্থে খাদ্যমন্ত্রী বিজেপির নাম না করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy