Advertisement
E-Paper

রেফার কমাতে নির্দেশ চন্দ্রিমার

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বর্তমানে ৫৯ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ডায়ালিসিস ইউনিট থাকলেও নেফ্রোলজিস্ট না-থাকায় অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট-এ এক জন অতিরিক্ত চিকিৎসক দরকার। বিষয়টি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৩০
শিলিগুড়িতে পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

শিলিগুড়িতে পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

অনেক দিন ধরেই অভিযোগ, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে রোগীদের সামান্য কারণেই রেফার করে দেওয়া হয়। সোমবার সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ আচমকা ওই হাসপাতালে পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে গিয়ে রোগী ও তাঁদের পরিবারদের সঙ্গে কথা বলে এই নির্দেশ দেন তিনি। বিশেষ করে, ডেঙ্গির সময় রেফার করার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল বলে দাবি।

তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের কর্মসূচিতে রবিবার শিলিগুড়িতে এসেছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। এ দিন তিনি জরুরি বিভাগে যান। জরুরি অবজারভেশন বিভাগে যান। সেখান থেকে প্রসূতি বিভাগে এবং শিশু এবং মায়েদের বিভাগে পরিদর্শনে যান। সেখানে শয্যা কম থাকায় একই বিছানায় একাধিক রোগিণী শিশুদের নিয়ে রয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে ১০০ শয্যার একটি নতুন প্রসূতি বিভাগের ভবন তৈরির পরিকল্পনার বিষয়টিও তাঁকে জানানো হয় হাসপাতালের তরফে। প্রসূতি বিভাগে যাতাযাতের পথে শল্য বিভাগের সামনে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীর আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা করেন চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। তাঁরা অবশ্য জানিয়েছেন, ঠিক মতোই পরিষেবা মিলছে। তবে তাঁর কানে গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসকদের একাংশকে অনেক সময় পাওয়া যায় না। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা সম্মেলনে চলে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছিল, সে কথাও শুনেছেন তিনি। মন্ত্রী জানান, খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বর্তমানে ৫৯ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ডায়ালিসিস ইউনিট থাকলেও নেফ্রোলজিস্ট না-থাকায় অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট-এ এক জন অতিরিক্ত চিকিৎসক দরকার। বিষয়টি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানানো হয়েছে।

বহির্বিভাগে ভিড় হয় জেনে আলাদা জায়গায় তার ব্যবস্থা করা যায় কিনা, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে চান চন্দ্রিমা। প্রসূতি বিভাগের নতুন ভবন তৈরি হলে বর্তমান ভবন থেকে প্রসূতি বিভাগ সেখানে যাবে। তখন বহির্বিভাগের সমস্যার বিষয়টি মিটবে বলে সুপারের তরফে তাঁকে জানানো হয়।

এ দিন শ্যামচরণ দাস নামে এক ব্যক্তি জানান, তাঁর স্ত্রী ব্লক হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন। তিনি মারা গিয়েছেন। পোষ্য হিসেবে তাঁর চাকরি পাওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় ৮ বছর পরেও তা পাননি। চন্দ্রিমা বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের দেখতে বলেছেন।

Chandrima Bhattacharya TMC refer শিলিগুড়ি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy